ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে সদর ইউনিয়নের মেম্বার মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা বরাবরে নিকট লিখিত ভাবে হেলাল উদ্দিন ও আয়াজ আলী বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেছে। জানা গেছে, সদর ইউপির ২নংওয়াডের মেম্বার মুহিবুর রহমান ক্ষমতা গ্রহণের সাধারন মানুষকে নিয়ে কোন সমন্বয় না করে জনস্বাথে উন্নয়ন না করে ব্যক্তিস্বাথে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে গৃহ নিমান, বিধবা ভাতা, টিউবয়েল, পঙ্গুভাতা , মাতৃভাতা, ঢেউটিন, বিদ্যুু।সংযোগ, বয়স্কভাতা, কৃষিকার্ড, বিচারে নামে আমানতের টাকা লুটপাট সহ ৩০জন সঙ্গে নানা কৌশলে প্রতারনা টাকা হাতিয়ে নেয়া অভিযোগ উঠেছে।
মল্লিকপুর গ্রামে মৃত গয়াস উদ্দিনের স্ত্রী সুহেনা বেগমকে বিধবা ভাতা দেয়ার কথা বলে ২হাজার টাকা, মৃত আরফর আলীর স্ত্রী গেদা মালা,মৃত রহমত আলীর রুপজান,মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও মাছুখালি গ্রামে মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী সালেখা বেগম,ও একই গ্রামে মৃত সিতাব আলীর স্ত্রী খায়রুন নেছা বিধবা ভাতা মাতৃভাতা ঢেউটিন দেয়ার নামে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেন। অবশেষে তাদের কাজ না করে গালাগালি করে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে।
এব্যাপারে মল্লিকপুর গ্রামে বিধবা সুহেনা বেগম জানান,মেম্বার তাকে বিধবাভাতা কার্ড দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ২হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এবং বিধবা সালেখা বেগম জানান মেম্বার তাকে ঢেউটিন ও বিধবা ভাতা দেয়া কথা বলে তার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে তিনি এ প্রতিনিধি’র কাছে এঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন । সে একজন সরকারি দলীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগে নেতার দাপট দেখিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ওয়ার্ডবাসি অভিযোগ করেন। তারাও ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। সদর ইউনিয়নে নব্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও সরকারদলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত টাকা কাজ না করে উত্তোলন করে লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার মুহিবুর রহমান যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন হেলাল নামক এক প্রতারক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দায়ের করে আমার পরিবারকে হয়রানি করছেন। গত মাসে আমার নামে থানায় অভিযোগ করছেন । এ অভিযোগটি দারোগা ইয়াসিন মুন্সি তদন্ত করেছে। সে একজন বহুরুপি প্রতারক হিসেবে তার আপনজন দিয়ে আমার নামে অভিযোগ করে যাচ্ছেন।