ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা ঝুঁকি হার্ডলাইনে উপজেলা প্রশাসন। সুনামগঞ্জের ছাতকে বাড়ছে কোভিড নাইটিনের সংক্রমণনর হার লাফিয়ে বাড়ছে। তার পরও মাস্ক পরতে উদাসীন অধিকাংশ মানুষ। তারা মানছেন না সামাজিক দূরত্বও। উপজেলার সবগুলো রাস্তাঘাট, হাটবাজারেই একই চিত্র দেখা গেছে। প্রশাসন ও পুলিশ বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়া সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিংসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে অব্যাহত রাখলেও এ বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না অধিকাংশ মানুষই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে বিনাকারণে সাধারণ মানুষের ঘরে বাইরে বের হওয়া কিছুটা কমেছে। তবে চলাচলে বন্ধ হয়নি। অতি প্রয়োজনে মানুষ যেমন বের হচ্ছেন, তেমনি বিভিনś অজুহাত দেখিয়ে ঘরে বাইরে বের হচ্ছেন অনেকেই। বেশিরভাগ মানুষ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম।উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়া, ধারন, পীরপুর বাজার, দোলারবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ।
বাজারের একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন। একই পরিবহনে বসছেন পাশাপাশি। অনেকেই বন্ধু-পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে-বসে। ছাতকের বিভিনś এলাকায় অলি-গলিতে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে একে অন্যের তিন থেকে চার ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সে প্রবণতা তেমন দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু দোকানের সামনে নিরাপদ দূরত্বের জন্য চিহ্ন দেখা গেছে। কেউ কেউ তা মানার চেষ্টাও করছেন। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিগলিতে বিভিনś বয়সী লোকের ভিড়।
বিশেষ করে গ্রামের ক্যারামবোটের দোকান, চা-স্টলেরর সামনে তরুণ ও কিশোরদের আড্ডাও চোখে পড়েছে। মানুষের মুখে এখন আগের মতো মাস্কও পড়তে দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে এক ধরনের উদাসীনতা কাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। দূরের রাস্তা হলে পুলিশের ভয়ে মাস্ক পরলেও অলিগলি ও দোকানের আড্ডায় মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলের সময় একটু সরে গেলেও কিছু সময় পরে আবার আড্ডা চলছে আগের মতো।
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গল্প করছেন তারা। নিয়ম রক্ষায় মাস্ক পড়লেও অনেকেই তা নামিয়ে রেখেছেন গলায়। স্থানীয় লোকজন বলছেন, মাস্ক ব্যবহার করলে তাদের গরম লাগে, শাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। আবার অনেকে অবহেলা করে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এদিকে পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় চেয়ারম্যানগন মাইকিং করাচ্ছেন বাসা বাড়ি থেকে বের হলেই যেন মাস্ক পরেন। বজায় রাখেন সামাজিক দুরত্বও।
এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ টিম ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ইউনিয়ন পর্যায়ে গঠিত প্রত্যেক গ্রামেও স্বেচ্ছাসেবক টিমও রয়েছে মাঠে। দোলারবাজারে এক পথযাত্রী মুখে মাস্ক না পরা একজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান,বাড়ী থেকে তাড়াাহুড়া করে বাজার করতে এসেছি, তাই বাড়িতে মাস্ক ফেলে এসেছি। গ্রামের কিছু মানুষের মুখে বলতে শুনা যায়,করোনাভাইরাস নিয়ে আমি ভয় করি না। জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। তাই আল্লাহ আমাকে যতটুকু হায়াত দিয়েছে ততটুকুই বেচে থাকব। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব চক্রবর্তী জানান, উপজেলা এ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ জনসহ করোনা ভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১৯৪ জন।
মৃত্যুবরণ করেছেন ৩জন। সুস্থ হয়েছেন মোট ১১জন। এখানে করোনার বিস্তৃতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুনভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন লোকজন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবির বলেন, অসচেতনভাবে মাস্ক ছাড়া কাউকে রাস্তায় পেলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া অব্যাহত রাখা হয়। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহবান করা হয়।