নিউজ ডেস্কঃ
গ্রীষ্ম শেষ হয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে নানারকম অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বরের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এখন জ্বর হলে দুশ্চিন্তা আরও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। কারণটা হলো করোনাভাইরাস। কিন্তু জ্বর মানেই তো করোনাভাইরাস নয়। ডেঙ্গুর ভয়টা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। আবার হতে পারে সাধারণ ভাইরাস জ্বর।জ্বর রোগের উপসর্গ মাত্র। জীবাণুর সংক্রমণ বা অন্যান্য কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ভাইরাসকে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাই জ্বর হয়। তাই জ্বর হলেই অতিরিক্ত চিন্তিত হবেন না। বরং আগে জেনে নিন এর কারণ। এরপর সেভাবেই ব্যবস্থা নিন।
এই সময়ে শিশুর জ্বর হলে কী করণীয় তা জানাচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকা-শিশুর জ্বর হলে ভয় পেয়ে অনেক অভিভাবক শিশুকে তড়িঘড়ি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। অনেকে আবার জ্বর হলেই করোনাভাইরাসের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে চান। এর কোনোটাই দরকার নেই। চিকিৎসকদের মতে, শিশুর জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখবেন, কিন্তু নিজে নিজে চিকিৎসা করে বিপদ বাড়াবেন না।
জ্বর খুব বেশি হলে মাথায় পানিপট্টি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা গরম পানিতে শরীর স্পঞ্জ করিয়ে দিতে হবে। বয়স ও ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে। জ্বরের পাশাপাশি বাচ্চার অন্যান্য উপসর্গর দিকেও লক্ষ্য রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়া হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। তাই জ্বরের সময় শিশু খাবার খেতে আপত্তি করলেও বারে বারে পানি, স্যুপ, শরবত জাতীয় খাবার দেয়া জরুরি। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে শিশু ঝিমিয়ে পড়লে বা জ্ঞান হারালে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার বদলে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার হতে পারে।
শিশুর জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করার দরকার নেই। সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা ডায়েরিয়া হলে এবং শিশু যদি নিস্তেজ হয়ে পরে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত।এই পরিস্থিতিতে শিশুকে সুস্থ রাখতে তাকে অকারণে বাইরে নিয়ে যাবেন না, শপিং মল বা বাজারে গেলে করোনা ছাড়াও অন্যান্য জ্বরের ঝুঁকি থাকে। বাড়ির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রেখে মশা মাছির হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করে সুস্থ রাখুন।