
ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে খাদ্যবান্ধব তালিকার চাল কবর থেকে উঠে মৃত ব্যক্তি টিপসই দিয়ে ১০ টাকা কেজির চাল উত্তোলন করে আবার কবরে চলে যাওয়ার এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ছৈলাআফজলাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের নামে বরাদ্দ দেয়া সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
তার আপন চাচা মৃত তরিক উল্লাহ নামে ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে ভুয়া নামের তালিকা করে প্রায় ৪-৫ মাস ধরেই চাল আত্মসাৎ করা হলেও এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির বাহাদুরপুর, ছৈলা, ইনাম, হাজিবাড়ি, ছক ইসবপুর, গ্রামে ইউপি সদস্য আপনজন ১৪ জনে নামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের তালিকা করে প্রায় চার বছর ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি করা হলেও তা বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষের ভাগ্যে জোটেনি। সদস্য আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ও ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে হতদরিদ্র খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির তালিকায় তার ভাতিজার বৌ সাজেনা বেগম, তার চাচাতো ভাই আতিক উল্লাহ মৃত তরিক উল্লাহ (চাচা), সদস্য আবুল হোসেন মৃত আরজান আলী (ফুফুতো ভাই)সহ ১৪ ব্যক্তি তার আপনজনের নামে তালিকা করেছে। তার ওয়ার্ডে মানুষের যে তালিকা করা হয়েছে তার বেশিরভাগই ভুয়া বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। বেশ কিছু ভুয়া নাম ব্যবহার করে গত ৪ বছরের চাল আত্মসাৎ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জিল্লু মিয়া গ্রামবাসীর পক্ষে জানায়, ৫-৪ মাস আগে মারা যাওয়া ৯৭২ ক্রমিকের তরিক উল্লাহ নামে চাল তার পরিবারের কাউকে না দিয়ে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, তার চাচা তরিক উল্লাহ গত চৈত্র মাসে মারা গেছেন ও একই বছরের ফাল্গুন মাসে তার ফুফুতো ভাই মারা যান।এ ব্যাপারে সদস্য আবুল হোসেন জানান, খাদ্যবান্ধব তালিকা আমি করিনি। এসব তালিকা ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ করেছেন। তার চাচা তরিক উল্লাহ ও ফুফুতো ভাই আরজান আলীর মৃত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিছুটা অনিয়মের কথা স্বীকার করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য এ প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেন।