ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে মুক্তিযোদ্ধা মফজ্জুল আলীর (৭০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ৩টায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রাম সংলগ্ন মাঠে জাযানা নামায শেষে রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তার লাশ দাফন করা হয়।তিনি উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের মনিরজ্ঞাতি-কুম্বায়ন গ্রামের মৃত ইসকন্দর অালীর পুত্র। রোববার রাত ৩টায় নিজ বাড়িতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও ছয় কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে ভয়াবহ বন্যার কারণে নিজ গ্রাম ও এলাকায় কবর দেয়ার মতো জায়গা পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সাথে যোগাযোগ করার পর তাকে বাঁশতলায় কবর দেয়ার কথা জানানো হয়। অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের সম্মতিতে তকিপুরস্থ তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে এ মুক্তিযোদ্ধার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল।
জানাযার নামাযে ইমামতি করেন, তকিপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা রোকন উদ্দিন। এসময় থানার এসঅাই ইমতিয়াজ সরকার, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন ও আক্রম আলী, জসিম উদ্দিন মেম্বার, দক্ষিন খুরমা ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবির বলেন, বন্যার কারণে মুক্তিযোদ্ধার গ্রাম বা এলাকায় কবরস্থ করার জায়গা পাওয়া যায়নি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের তকিপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার সুযোগ দেয়ায় তিনি আখলাক চেয়ারম্যানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।