নিউজ ডেস্কঃ
শাকসবজি, আম, শুটকি, মাছ- মুরগির পর এবার কোরবানির পশু পরিবহন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। করোনা সংক্রমণ রোধে খামারিদের সহায়তার জন্য প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কতৃপক্ষ।তবে আসন্ন কোরবানিকে কেন্দ্র করে কোন কোন রুট হয়ে ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রামে কোরবানি পশু আসবে তা এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৫-০৬ সালের দিকে ময়মনসিংহ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামগঞ্জ, জামালপুর রুটে ক্যাটেল ট্রেনে কোরবানি ঈদের আগে পশু পরিবহন হতো। তবে কালক্রমে তা অনেক দিন হয়নি।
কিন্তু আসন্ন কোরবানে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক সরদাত সাহাদাত আলী বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো নির্দেশনা আসেনি। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে যে কোনো নির্দেশনা পাওয়া মাত্র তা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।’এদিকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, শাকসবজি ও ফলের মতো কোরবানির পশুও লাগেজ ভ্যানে পরিবহন করা হবে। বিশেষ করে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে পশু বেশি আসে। তবে কোন কোন স্থান থেকে বেশি পশু আসতে পারে, তা চিহ্নিত করে দেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এরপর খামারি ও ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুসারে নির্দিষ্ট স্থান থেকে লাগেজ ভ্যানবাহী ট্রেন চালানো হবে।ওই সময় রেলমন্ত্রী জানান, মিটারগেজের একেকটি লাগেজ ভ্যানে ১৬টি গরু পরিবহন করা সম্ভব। ব্রডগেজে ২০–২১টি গরুর ঠাঁই হবে। এমন একটি মিটারগেজ ট্রেন গাইবান্ধা থেকে চট্টগ্রামে গেলে ৩৩–৩৪ হাজার টাকা ভাড়া পড়বে। পাবনা থেকে ঢাকা এলে ভাড়া আরও কম লাগবে। সব মিলিয়ে একটি গরু ঢাকা আনলে দেড় থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে খরচ পড়তে পারে। চট্টগ্রামে গেলে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা লাগবে।