ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে আবদুল মালিক (২৮) নামের এক যুবক নিজেই ফেঁসে গেলেন। নিজেই ‘গুম নাটক’ সাজিয়ে আত্বগোপনে থাকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের জালে তিনি ধরা পড়েন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সে উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামের ওয়াছির আলীর পুত্র।জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামের আবাব মিয়ার পক্ষ আবুল হাসনাত, সাবাজ মিয়া পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গেল ১২ জুন পক্ষদ্বয়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা পাল্টি মামলা হয়।
এর জের ধরে গেল বুধবার রাতে আবুল হাসনাত ও সাবাজ মিয়ার পক্ষের আবদুল মালিক এবং আবাব মিয়ার পক্ষের সায়মন মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সায়মন মিয়া গুরুতর আহত হলে আবদুল মালিক গা-ঢাকা দেন। পরিকল্পনা মতো তাদের নেতাদের পাশের ঘরে নিজেই আতĄগোপনে থেকে ওই রাতের মধ্যে তার স্বজনদের পাঠানো হয় জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। সেখানে পৌঁছে তারা অভিযোগ করেন, তাদের পুত্রকে প্রতিপক্ষের লোকজন গুম করে নিয়ে গেছে। মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতেই অভিযান করে তার বাড়িতে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের ঘর থেকে পালিয়ে যায় যুবক আবদুল মালিক।
এসময় পুলিশের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবদুল মালিকের বাবা ওয়াছির আলী, দুই মা আফতেরা বেগম ও মনোয়ারা বেগম, ভাই কয়ছর, শহিদ ও হাসানকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধারণ এলাকা থেকে আবদুল মালিককে আটক করে পুলিশ। পরে পূর্বের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দিদার উল্ল্যাহ জানান, পুত্র নিখোঁজ রয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তার মা। এর প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করে পূর্বের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।