হাসান ছাতক প্রতিনিধি :
এ যেনো রূপকথার গল্প।ছাতকে এক রিকশা ওয়ালা এখন শত শত কোটি টাকার মালিক!দেশের কুখ্যাত প্রতারক শাহেদের ব্যবসায়ীক পার্টনার ও বন্ধু তিনি। এ নিয়ে ছাতকে তোলপাড় চলছে।বৌলাগ্রামের রিক্সার মালিক কবির মিয়ার গ্যারেজে এইতো সেদিন রিক্সা চালিয়েছে।বর্তমানে কয়েকশত কোটি টাকার মালিক সুনামগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও আশুলিয়ায় তার রয়েছে বিঘা বিঘা সম্পত্তি! ছাতক শহরে আলিশান বহুতল ভবন, চলাফেরায় দামী গাড়ী,
ঢাকা চিটাগাং যাতায়াত চলে বিমানে, লক্ষ লক্ষ ঘন ফুট বালু পাথর ষ্টক, হাজার টন চুনা পাথর আমদানী সহ রয়েছে ভূমি ব্যবসার ভূমিখেকো সিন্ডিকেট! ভাবা যায়,,,,,,! হ্যা এখলাস, বাবার নাম রমজান,,,, তবে নামের শেষে খান সম্ভোধন না করলে ক্ষেপে যান। ২০০৩ সালে হঠাৎ রিক্সা ছেড়ে বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা লগ্নি করতে থাকে বানের জলের মতো। এই এখলাস খানের অপতৎপরতায় অনেক মূলধারার ব্যবসায়ী খেই হারিয়ে ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়েছেন।
লোক দেখানো বেশ কিছু ব্যবসা শুরু করে এবং প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ টাকার মুনাফা হচ্ছে বলে গালগপ্পো শুনাতে শুনাতে আজ অল্প কয়েক বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক! ছাতকের মূলধারার অনেক অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীগন আজো তার উথান ও টাকা ফুলেফেপে উঠার রহস্য খুজতে গলদঘর্ম। বর্তমানে আলোচিত প্রতারক করোনা টেষ্ট কেলেংকারী সাহেদের কাছে নাকি এই এখলাস খান দুই কোটি টাকা পান এবং বিভিন্নরকম নিউজ ও হয়েছে মামলা ও হচ্ছে শোনা যাচ্ছে এই সাহেদের সাথে এখলাস খানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও কোটি টাকার লেনদেন কিসের আলামত,,,,?
এব্যাপারে ব্যবসায়ী সম্রাট চৌধুরী বলেন, এই কয়দিন আগে এখলাছ খান রিকশা চালিয়েছে। একজন রিকশাচালক আঙুলফুলে কলাগাছ হয়ে রাতারাতি কিভাবে শত কোটি টাকার মালিক হলো তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করে দেখতে হবে।এম এইচ খালেদ মিয়া বলেন, উনি কয়েক বছর আগে রিক্সা চালক চিলেন বর্তমানে কুটি কুটি টাকার মালিক ছাতকে ও শশুর বাড়ীতে প্রচুর সম্মত্তি ও জায়গা জমিন এবং ব্যাংক ব্যালেন্স যা অবাক করারমত খোজ নেন এসব কি করে সম্ভব।সঠিক পথেও টাকা কামানো যায় অবৈধ পথেও যায় কোনটা সঠিক খোঁজ নিয়ে দেখেন।
দেশ তোলপাড় করা ধূর্ত প্রতারক সাহেদ ওরফে শাহেদ করিম ও তাঁর সঙ্গী মাসুদ পারভেজ ছাতকের আলোচিত বালু-পাথর ব্যবাসায়ী এখলাছ খানের কাছ থেকে প্রতারণা করে দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাওনা টাকা চাইতে ঢাকায় গেলে ওই ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখান সাহেদ। প্রতারণার শিকার সুনামগঞ্জের ছাতকের বালু-পাথর ব্যবসায়ী এখলাছ খান গতরবিবার এ ব্যাপারে মামলা করার জন্য ছাতক থানায় যোগাযোগ করেছেন।
ছাতক থানা পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী এখলাছের লিখিত অভিযোগে ভুল থাকায় সংশোধন করে আনার জন্য বলা হয়েছে। ছাতকের মণ্ডলীভোগ এলাকার ব্যবসায়ী এখলাছ খান জানান, গত মে মাসে শাহেদ ও তাঁর এক সহযোগী মাসুদ বালু-পাথর সরবরাহের কথা বলে দুই কোটি টাকার মালামাল নেন। সাহেদ করিম একই বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁর কাছ থেকে এক কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৪২ টাকার বালু-পাথর নেন।
এরপর তাঁকে তিনি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং এক্সকাভেটর মেশিন বিদেশ থেকে আনার জন্য আরো এক লাখ ১০ হাজার ডলারের (প্রায় ৯৪ লাখ টাকার) এলসির কাগজপত্র প্রদান করেন। সাহেদ কর্তৃক প্রদত্ত চেক এখলাছ খান ছাতকে এসে ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর জানতে পারেন ওই হিসাবে কোনো টাকাই নেই।
এব্যাপারে সমালোচিত ব্যবসায়ী এখলাছ খানের মোবাইল নাম্বারে (০১৭১২***৫৭৭) একাধিক বার যোগাযোগ করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং দুর্নীতি দমন কমিশন এব্যাপারে তদন্ত করলে অবশ্য ই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে ছাতকবাসী আশাবাদী।