চিলমারী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি;
আমাদের দেশে প্রতি বছরেই বন্যা হয়ে থাকে ।এবছরে ও বন্যা হয়েছে তবে এবারের বন্যাটি ছিলো ব্যতিক্রম।যার মেয়াদ কাল দীর্ঘমেয়াদী।কবে যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে নেই তার কোনো নিদিষ্ট সময়।হয়তো এবারের বন্যার সালটি বড় অক্ষরে লেখা থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় ।বন্যায় দিশেহারা হয়ে মানুষ খুজে পাচ্ছে না কোনো পথ,খেয়ে না খেয়ে আশার পথের দিকে তাকিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন হাটু পানি পাড়ি দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ।পাচ্ছে না কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে ।খেতে পাচ্ছে না ঠিকমতো ৩ বেলা ।
কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে উচুঁ কোনো জায়গায়।বৃষ্টি হলে পড়তে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে।একটু বাতাস হলে উড়ে যাচ্ছে টিনের ও পলিথিনের তাবু গুলো।গবাদিপশু গুলোকে নিয়ে পড়েছেন অনেক সমস্যায়।একদিকে যেমন থাকার সমস্যা,অন্যদিকে তাদের দিতে পাড়তেছেন না পর্যাপ্ত খাদ্য।বিক্রি করতে গেলেও পাইতেছেন না সঠিক দাম।তাদের কাছে সরকারী ত্রান মিললেও মিলছে না কোনো এনজিওর সাহায্য।তবে এনজিও দেরকে দেখা গিয়েছে গ্রামে ক্ষুদ্র ঋন কিস্তি আদায় করতে ।হামরা যেডে ৩ বেলা খাবার পাইনে,সেডে কেমন করি কিস্তি দেমো তোমরাই কন তো।এমনটাই বলেছেন বন্যাথ পরিবারের অনেক মানুষেই।