
চিলমারী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে কুড়িগ্রাম চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলের ১৭ শতাধিক পরিবার। তছনছ হয়েছে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন অষ্টমির চর, চিলমারী ও নয়ারহাটের বিভিন্ন গ্রাম। ১৫-২০দিন আগে যেখানে ছিল গ্রাম,গাছ-গাছালি, মসজিদ, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন সেখানে ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তাল ঢেউ।
দিশেহারা মানুষ বসতভিটা, জমিজমা হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও অন্যের জায়গায়।জানা গেছে অষ্টমির চর ইউনিয়নে মাঝবাড়ি, ভাসান পাড়া, খর্দবাঁশপাতার, খর্দবাশপাতার দক্ষিনপাড়া,খর্দবাঁশপাতারচ পূর্বপাড়া, নাওশালা খারুভাঁজ পশ্চিমপাড়ার প্রায় ৭২৬ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ৮টি মসজিদ, নটারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটারকান্দি বাজার নদীতে বিলীন হয়েছে। চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম মনতলা, পশ্চিম গাজীরপাড়া, কড়াইবরিশালের ঘাট থেকে শাখাহাতির ঘাট পর্যন্ত বিস্তির্ন এলাকার ৪ শতাধিক ঘরবাড়ীসহ ১টি প্রাইমারী স্কুল ও ১টি মসজিদ নদীতে বিলীন হয়েছে।
নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়ার চর, উত্তর খাউরিয়ার চর, চর খেদাইমারী, দক্ষিণ ফেইচকা, ২’শ বিঘা ও খেরুয়ার চরের প্রায় ৬২০ পরিবারের বাড়ীঘরসহ ৩টি ইউনিয়নের মোট ১৭ শতাধিক পরিবারের বাড়ী-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তার ইউনিয়নের ৬ শতাধিক পরিবার নদীতে সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের লোকজন বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্র, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করছে।
অষ্টমির চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তালেব ফকির বলেন, মাত্র দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেল সাত-আটটি গ্রামের ৭ শতাধিক পরিবার।ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে চর মুদাফৎ কালিকাপুর, মুদাফৎ কালিকাপুর ও নটার কান্দি গ্রাম। হুমকির মুখে রয়েছে নটারকান্দি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, খর্দ বাঁশপাতার হাফিজিয়া মাদ্রাসা সহ বেশ কিছু মসজিদ।