দর্শনা প্রতিনিধি,,
ধান সাধারনত পাক ধরলে স্বর্ন বা সোনালি রঙের রুপ নেয় কিন্ত চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলা দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ছাদেক আলী সহ একই গ্রামের অনেক কৃষক এবার বেগুনি রঙ্গের ধান চাষ করে ব্যপক আলোচনায় এসেছে। এক বিঘা জমিতে বেগুনি রঙের ধানচাষ দেখতে প্রতিদিনই ছাদেক আলীর ধানের জমি দেখতে আসছে অনেকে। ২৭টি ধান বীজ থেকে পর্যায়ক্রমে বীজ তৈরী করে আজ এক বিঘা ধানচাষ করেছেন চাষি ছাদেক আলী।
জানা যায় চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ছাদেক আলী বাড়ির সামনের মাঠে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে রোপন করেন এক বিঘা বেগুনি রঙের ধানের চারা। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, চারপাশে সবুজ বোরো ধানের মাঝে বেগুনি ধানের জমি সত্যি দেখার মতো। সাধারণ জাতের ধানের চেয়ে এই ধানের একটি ছড়ায় ২৫ থেকে ২৭টি কুশি গজিয়েছে। ব্যতিক্রমী এই বেগুনি রঙ-এর ধান চাষ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন ছাদেক আলী।
ছাদেক আলী জানান, গত বছর ঝিনাইদহে বেগুনি রঙের ধান চাষ হচ্ছে জানতে পেরে জনৈক্য চাষির মাঠে যায়। সেই বীজ দিয়ে গত শীতে বীজতলা তৈরী করি। যা থেকে ১০ কেজি ধান উৎপাদন হয়। সেই ধান পুনরায় বীজতলায় ফেলে চারা তৈরী করি। সেই চারা দিয়ে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষের দিকে ১ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ছিলাম। যদিও এখনও ধান পেকে ঘরে আসতে ভাদ্রমাস লেগে যাবে। ধান ঘরে না উঠতেই অনেকেই বীজ নেবার জন্য বলে রেখেছে।
গ্রামের চাষি, আবুসালেহ, মিজানুর, খালেক, আত্তাব, জমির, রাশেদ, রহিমসহ অনেকেই বলেন, গতানুগতিক ধান চাষ নিয়ে কারো মনে তেমন কোন কৌতুহল নেই। তবে ছাদেকের বেগুনি রঙের ধানের জমি দেখতে প্রতিদিনই লোক আসে। ছাদেকের কাছ থেকে বীজ নিয়ে অন্তঃত্ত একবার চাষ করার ইচ্ছা আছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বলেন, ঝিনইদহ এবং রংপুর এলাকায় চাষ হচ্ছে। উত্তর বঙ্গের চাষিরা খাদ্য শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে এধানের চাষ করে থাকে।
তবে এ জেলাতে পারিবারিক খাদ্য শস্য উৎপাদনের লক্ষে এ ধানের চাষ এখনও শুরু হয়নি। শখের বসত হয়তো কেউ লাগিয়ে থাকতে পারে। জেলাতে কতটুকু বেগুনি রঙের ধানচাষ হয়েছে এমন কোন তথ্য জানা নেই কিন্তু চাল দেখতে একটু বেগুনি রঙের হবে।