গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের বায়েজীদ থানা টেক্সটাইল বাংলাবাজার পূর্বঞ্চল এলাকার অসহায় নাছিমা আক্তার রত্মার ১২ বৎসরের এক নাবালিকা মেয়ে মোছাম্মৎ মুক্ত আক্তার (১২) কে গভীর রাতে ঘর থেকে মুখ চেপে ধরে পাশ্বে এক বাঁশ ঝোপে নিয়ে পাষবিক নির্যাতন করে ধর্ষণ করে মিলন নামের এক বখাটে ছেলে।স্হানীয় সূত্রে জানা যায় বখাটে মো.মিলন পাশ্ববর্তী কলোনিতে থাকতো সেই সুবাধে তাদের মধ্যে পূর্বের থেকে জানা শোনা ছিল।
ঘটনার দিন দিবাগত রাত প্রায় ৮টায় সে নাছিমা আক্তার রত্মার বাসায় এসে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখায়। পরে রাত যখন গভীর তখন তার সঙ্গে আরও ৩ জনকে নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে মোছাম্মৎ মুক্ত আক্তারের মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে বলে জানা যায়। মুক্তা আক্তার সেই দিনের ন্যাক্কার জনক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সে বলেন সেদিন রাতে সে আমাদের এসে আমার মাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখায় সে চলে যায়, আর আমার মাও তখন আর বাসায় ছিল না আর আমরা তখন রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি যখন রাত গভীর হয়,
তখন সে মো.মলিনসহ আরও ৩ জনকে সাথে নিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার মুখ চেপে ধরে পাশ্বে এক বাঁশ ঝোপের নিছে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।তখন আমার চিৎকার শুনে আমার মা এগিয়ে আসলে মিলনসহ অন্য ৩ জন পালিয়ে যায় পরবর্তীতে আমারা বায়েজিদ থানায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলে মো.মিলনকে গ্রেফতার করে এবং আমাকে ডাক্তারি পরিক্ষা করার জন্য থানা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিক্ষা দিয়ে আমি বাসায় চলে আসি এখন তারা আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আমরা এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের নিকট আমাদের নিরাপত্তা ও আসামীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
মা রত্না আক্তার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে বলেন আমি বড় অসহায় মেয়ের বাবা মারা গেছে প্রায় ৮/১০ বছর হচ্ছে আমি খেয়ে না খেয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করতেছি।আমি আগে পেটের দায়ে খারাপ কাজ করেছি কিন্তু এখন আমি কোন কারাপ কাজের সাথে আমি জরিত নেই,আমার বিরুদ্ধে এখন ১৮টি মিথ্যা মামলা রয়েছে এখন আমি এইসব মামলা থেকে খালাস পেতে চাই,আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন করছি আপনারা আমাকে ভালো হবার সুযোগ করে দেন আমাকে আর কোন হয়রানি করবেন না আমি আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে না খেয়ে হলেও এবং প্রয়োজনে গায়ের রক্ত বিক্রি করে হলেও ভালো পথে চলতে চাই।
তিনি আরও বলেন আমার মেয়ের জীবন যারা ধ্বংস করে দিয়েছে আমি তাদের কঠিন বিচার চাই এবং তারা যেন কোনদিন জেল থেকে জামিন না পায়, তাদের দেখে কেউ জানো এসব কাজ করার সাহস না পায়। প্রত্যকদূর্শী এক বৃদ্ধা মহিলা জায়েদা খাতুন বলেন বখাটে ছেলে মো.মিলন যে ভাবে ১২ বৎসরের কিশোরীকে নির্মম ভাবে গণধর্ষণ করেছে তাকে এই কাজে সহায়তা করেছেন মাদক ব্যবসায়ী ধর্ষক মিলনের কলোনির কেয়ারটেকার মো.কাজল প্রকাশ ইয়াবা কাজল আমি তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিউজ ডেস্কঃ