
চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের জন্য দুই বছর আগে জমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। জমি ও স্থাপনা বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য দুই বছর আগে সিডিএ চেয়ারম্যান আশ্বাস দিলেও চলতি বছরের অক্টোবরে এসেও ৫ শতাধিক পরিবার ক্ষতিপূরণের অর্থ পায়নি। অপরদিকে মাত্র ১৬টি পরিবারকে অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
আজ ১০ অক্টোবর সকালে নগরীর বাকলিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটাস্থ নির্মানাধীন লিং রুটে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের লোকজন মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ কাইসার, মুহাম্মদ সরওয়ার, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ লিটন, মোহাম্মদ মনির প্রমূখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকল্পটির শুরু থেকেই রয়েছিল ভূমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত নানা জটিলতা, যা এখনও সমাধান হয়নি।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অধিগ্রহণ ছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির ওপর কাজ করার সুযোগ না থাকলেও; সিডিএ নিয়ম না মেনে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির ওপর সড়ক নির্মাণ শুরু করে। আর ভূমি মালিকরা গত তিন বছর ধরে জমির ক্ষতিপূরণ দাবি করে সিডিএ দরজায় ঘুরলেও কোনো জবাব মিলছে না। ফলে ভূমি মালিকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পর্যন্ত স্মারকলিপিও দিয়েও কাজ হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ অধিগ্রহণ না করে অনেকের জমি দখলে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
তারা বলছে, রিং রুটে অন্তত ৫০০ পরিবারের জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে ১৬ জনকে ক্ষতিপূরণ চেক দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪৮৪ পরিবারকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে সিডিএ। উল্লেখ্য, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ কর্ণফুলী নদীর তীরে আট দশমিক পাঁচ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কাম সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল একনেক সভায় অনুমোদন পায়। যার মেয়াদকাল ধরা হয় জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত। প্রকল্পটি শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হলেও পরবর্তীতে আরও ৩৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৩১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।