সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ৬ নং সারুটিয়া ইউনিয়নে গত কাল রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মপুর, মৌকুড়ি, পুরাতন বাখরবা ও কাতলাগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সারুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বর্তমান চেয়ারম্যার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মামুনের সাথে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইসার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলমান রয়েছে।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলফিকার কাইসার টিপুর সমর্থকরা বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মী সমর্থকদের বাড়ী ঘরে হামলা চালায়। এসময় ১৫টি বসত বাড়ী ও ৩টি দোকানসহ মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়া হামলাকারীরা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় মহিলাসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। আহতরা বর্তমানে শৈলকুপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জুলফিকার কাইসার টিপুর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান দৌলত, শহিদুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, তছিরুল ইসলাম, সাজেদার রহমান, সাইফুর রহমান গোলাপ, পুরাতন বাখরবা গ্রামের মনছের, কাদের, আজব, কলম,
বিত্তিপাড়া গ্রামের মন্নু, আব্দুল আওয়াল, আশরাফুল ও হাজামের ঘর এবং কাতলাগাড়ী বাজারে মশিয়ার রহমানের দোকান ভাংচুর করে। এর আগে বর্তমান চেয়ারম্যানের এক সমর্থকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে পুকুরে ফেলে দেয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও ভাংচুর ও লুটপাটে বাধা দেয়নি। পুলিশ জানায়, ভাংচুরকৃত মোটরসাইকেল পুকুর থেকে উদ্ধার করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে পৌছনোর আগেই বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে যায়। শৈলকুপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি;