পরীক্ষার সেন্টার না থাকায় ২০ কিলোমিটার নদী পার হয়ে যেতে হচ্ছে পরীক্ষার সেন্টারে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র না থাকায় শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। এ জন্য রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ দুই ইউনিয়নে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র না থাকায় রাঙ্গাবালী সদরে এসে পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত চালিতাবুনিয়া মমতাজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতি বছর দুই বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরিক্ষা দেয়ার জন্য উপজেলা সদর রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসতে হয়। উপজেলা থেকে চরমোন্তাজের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার ও চালিতাবুনিয়ার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার হলেও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
চরমোন্তাজ এ ছাত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ রিয়াদ খান বলেন, পরীক্ষা দিতে আমার রাঙ্গাবালী যাচ্ছি। ওখানে থেকে পরীক্ষা দিব। আমাদের এখানে কেন্দ্র থাকলে ঘরের ভাত খেয়েই পরীক্ষা দেওয়া যেতো।
চালিতাবুনিয়া মমতাজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী মোসাঃ ফারজানা আক্তার অভিযোগ করেন,সবচেয়ে কঠিন সংকটে পড়তে হয় ছাত্রীদের। ঝড়-তুফানে জামা-কাপড় ভিজে একদম সর্বনাশ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চরমোন্তাজ এ ছত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:রুহুল আমিন মুঠোফোন বলেন, বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রলারে করে বুড়াগৌরাঙ্গ নদী পারাপার হতে হয়। এর আগে ২০১৭ সালে ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ট্রলার ডুবে গিয়েছিলো তাতে শিক্ষার্থীদের বই খাতা সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নদীতে ভেসে যায়।
নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী) সংবাদদাতা