ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে ছাতকে ঊধর্źতন উপসহকারী প্রকৌশলী/কার্য ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ছাতক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ৫ম শ্রেণি পাস আবদুল নূর অনিয়ম দুনীীতির অভিযোগের ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে পিতা- আব্দুল নুর, পুত্র মাহবুবুর আলমকে চট্রগ্রামে রেলওয়ে বিভাগের জুনিয়র পাসোনল অফিসার ১ (পুর্ব)পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী সাহেব উদ্দিনের স্বাক্ষরিক আদেশে ছাতক রেলওয়ে বির্তকিত ঊধর্źতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুরকে ছাতক থেকে চট্রগ্রামে লাকসামে ষ্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। তার পুত্র মাহবুবুর আলমকে ঢাকা ˆভরব বাজারে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
এ ষ্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ স্থগিত করতে কোমর বেধেঁ কোটি টাকার প্রজেষ্ট হাতে নিয়ে আব্দুল চট্রগ্রামে রেলওয়ে বিভাগে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ষ্ট্যান্ড রিলিজে বলা হয় ৭ডিসেম্বর মধ্যে লাকসাম কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়। গত ৭ জুলাই ˆদনিক যুগান্তর পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে লুটপাট দুনীতির অভিযোগ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গোপনে তদন্ত করে ৬ মাস পর ছাতক রেলওয়ে বির্তকিত ঊধর্źতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুর ও তার পুত্র মাহবুবুর আলমকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করার এ ঘটনায় ছাতক ও সিলেটসহ বিভাগজুড়েই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অভিযোগ থাকার পরও ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে, বিআর ও সিএসপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন দাপটের সঙ্গে। ভোলাগঞ্জ-ছাতক রোপওয়ের ট্রেসেল সুরক্ষা বোল্ডার-পাথর তুলে বিক্রি, বাসাবাড়ি, দোকান, বিভিনś স্থাপনা, নদী পাড়ের ডাম্পিং সাইট বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে সরকারের লাখ লাখ টাকা লুটপাট ও আতĄসাৎ করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।জানা গেছে, আবদুল নূর ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করে ১৯৮৬ সালে ইলেকট্রিক খালাসি পদে ছাতক বাজার দফতরে চাকরিতে যোগদান করেন।
১৯৯৩ সালে কার্পেন্টার-হেলপার এবং ২০১১ সালে ওয়ার্ক সুপারভাইজার পদে পদোনśতির পর প্রায় ৮ বছর আগে বিভিনś অনিয়ম-র্দুর্নীতি ও রেলওয়ের স্লিপার, লোহা, পাথর চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগে তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়। ২০১৪ সালে আবার ছাতকে বদলি হয়ে আসেন। পরে রোপলাইন (টিএলআর) অস্থায়ী কর্মচারীর বেতন আতĄসাৎ ও ভোলাগঞ্জের পাথর চুরির অভিযোগে ২০১৫ সালে ময়মনসিংহের জামালপুরে আবার তাকে বদলি করা হয়।
পরে জামালপুর হতে সিলেট বদলি হন ওয়ার্ক সুপারভাইজার পদে।স্থানীয় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির আশীর্বাদে এক সময়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল নূরকে ২০১৮ সালে (ভারপ্রাপ্ত) এসএই/কার্য/বিআর ভোলাগঞ্জ হিসেবে ছাতকে বদলি করা হয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ছাতক রেলওয়ের ঊধর্źতন উপসহকারী প্রকৌশলী ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে ও সিএসপির (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব গ্রহণ করেন আবদুল নূর। দায়িত্ব নেয়ার পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন আবদুল নূর।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের ছেলেমেয়ের নামে মাসের পর মাস বেতন-ভাতা তুলেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। সরকারি চাকরির নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত তার ছেলে মাহবুবুর আলম (খালাসি) মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (খালাসি) সরকারি ডিউটি ফাঁকি দিয়ে লেখাপড়া করছে সিলেটের একটি বেসরকারি কলেজে। আবদুর নূরের ছেলে মাহবুবুর আলম এক সময় ফেরি করে চা বিক্রি করতেন ছাতকের বিভিনś এলাকায়। বেশ কিছুদিন ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তাদের ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ২টি ট্রাক, ২টি পিকআপভ্যান ও ১টি মোটরসাইকেল। গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে।
রেলওয়ের সরকারি বাসা বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে তিনি থাকছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল ভাড়া বাসায়। সূত্র জানায়, আবদুল নূর এর খাস লোক হিসেবে পরিচিত আবু বক্কর সিদ্দিক (চৌকিদার) কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। সিএসপির ২১০টি মোল্ডের সাইড প্লেট কম থাকায় কামাল উদ্দিন ওয়েল্ডারকে অবৈধভাবে কাটিং ওয়েল্ডিং করে তৈরি করে দেয়ার আদেশ করেন আবদুল নূর।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ওয়েল্ডার নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন কামাল উদ্দিন।এব্যাপারে চট্রগ্রামে রেলওয়ে বিভাগের জুনিয়র পাসোনল অফিসার ১ (পুর্ব)পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী সাহেব উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পিতা-পুত্র দুটি আদেশে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম লুটপাটের অভিযোগ ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।