
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ভারতের রনী দা’ই বাংলাদেশের মাসুম পারভেজ রাসেল ওরফে ফকির রাসেলকে নিয়ে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে তোলপাড়।ঝিনাইদহের কা ননগর এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মাসুম পারভেজ রাসেল ওরফে ফকির রাসেল নাটক নির্মাতা হিসাবে ঝিনাইদহ শহর সহ আশপাশের জেলায় পরিচিত। “রতি মাল্টিমিডিয়া” নামে একটি ১৮+ইউটিউব চ্যানেলের নাটকের শুটিং করিয়ে নায়িকা বানানোর প্রলোভন ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে মর্মে একাধিক সুত্রে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায় রাসেল নারীদের দিয়ে ১৮+অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে তার ইউটিউব “রতি মাল্টিমিডিয়া”চ্যানেলে ছাড়ে। রাসেলের স্ত্রী নিপু জানায় মাসুম পারভেজ রাসেল ভারতে গিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করে এসেছেন প্রায় ৯ বছর। বিয়ে করেন ভারতীয় হিন্দু মেয়েকে।
নিজেও ধর্ম পরিবর্তন করে রাতারাতি বনে যায় রনী বিশ্বাস নামে। ভারতের রনী বিশ্বাস নামে আধার কার্ড তৈরি করে এক হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে নিজেও হিন্দু হয়েছেন। এসব সকল অপকর্ম ফাঁস হওয়া শুরু হলে মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে রাসেল ওরফে রনী বিশ্বাস এখন লেবাস বদলিয়ে তাবলীগ জামাতের লেবাস লাগাতে অবস্থান করছেন মসজিদে। মুখে তার দাড়ি, মাথায় টুপি, পরনে তার পাঞ্জাবী। তার এসব লেবাস দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি একজন ১৮+অশ্লীল ভিডিও তৈরির মূল হোতা ও প্রতারক। আর তার এসব প্রতারণার সহযোগিতা করেছে তার নিজের মা অভিযোক করে বলেছেন তার বর্তমান স্ত্রী নিপু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাসেল তার নিজের মায়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় নিজ বাড়িতে মেয়ে নিয়ে আসতো।
এর মধ্যে অনেকের ১৮+অশ্লীল ভিডিও ধারন করে ব্লাকমেইল করেছেন। কবিরাজি চিকিৎসা ও চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে অনেকের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রতারক রাসেলের বিরুদ্ধে। মাসুম পারভেজ রাসেলের সাথে কথা বললে তিনি ভারতে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তনের কথা স্বীকার করলেও মেয়েদের ব্লাকমেইলের কথা অস্বীকার করেন। রাসেলের মায়ের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঝামেলা করতে বারন করে সাংবাদিকদের কথার জালে ফাঁসাতে চেয়েছেন। সেই সাথে মামলা দেয়ারও হুমকি প্রদান করে।
রাসেলের ১৮+অশ্লীল ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইলের শিকার হয়েছেন তার নবম স্ত্রী নিপু। রাসেলের স্ত্রী হয়েও তার ব্লাকমেইল শিকার হয়ে হতভম্ব হয়েছেন তিনি। এবিষয়ে তার নবম স্ত্রী শহরের ব্যাপারি পাড়ার নিপু ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগটি তদন্ত করছেন সদর থানার এসএই ইকবাল বলে তিনি সাংবাদিকদের জানায়। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সহ সুশীল সমাজের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে। তারা অশ্লীল ভিডিও নির্মানের হোতা রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছেন।