
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দীন আহমদ এম.পি বলেছেন-মানুষকে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশিত পথে পরিচালিত করার জন্য আলামা হাশেমী সুদীর্ঘকাল পর্যন্ত পরিশ্রম করে গেছেন এবং আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে তাঁর অবদান অপরিসীম, সর্বোপরি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাকারীদের স্বরূপ উন্মোচনে আল্লামা হাশেমীর ভূমিকা, এই জনপদের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবেন। তিনি ২৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে গাউছিয়া হাশেমী কমিটি- বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার যৌথ উদ্যেগে বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ইমামে আহলে সুন্নাত,
আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম হাশেমী (রহ.)’র ৯২ তম পবিত্র খোশরোজ তথা জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ইমাম হাশেমী কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথা বলেন। ইমাম হাশেমী কনফারেন্স উদযাপন পরিষদের আহবায়ক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দীন হিমেলের স ালনায় মূখ্য আলোচক ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মহাসচিব আল্লামা আবুল কাশেম নূরী। তিনি বলেন সুন্নীয়তের প্রচার-প্রসার এবং সুন্নীয়তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে ইমাম হাশেমীর অবদান সবচাইতে বেশি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামে সুন্নী মাদ্রাসা গুলোতে আল্লামা হাশেমীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাঁধার কারনে রাজাকার আল-বদর, আল-শামস তাদের কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ হয়।
কনফারেন্সে উদ্বোধক ছিলেন আঞ্জুমানে মুহিব্বানে রাসূল গাউছিয়া জিলানী কমিটির সভাপতি মাওলানা মুফতি কাযী আবুল এরফান হাশেমী। বিশেষ অতিথি ছিলেন-সাবেক চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কনফারেন্সে আলোচনায় অংশ নেন কলামিষ্ট, লেখক ও গবেষক ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, আল্লামা হাশেমী ইসলামী মিশনের চেয়ারম্যান কাযী আবুল ফোরকান হাশেমী, সোবহানিয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা নুরুল আবছার, ফয়জুল বারী সুন্নীয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ড.খলিলুর রহমান, শানে গাউছুল আজম মাইজভা-ারী ওলামা পরিষদের মহাসচিব মাওলানা শায়েস্তা খাঁন আযহারী।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে মুহিব্বানে রাসূল গাউছিয়া জিলানী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী চৌধুরী, গাউছিয়া হাশেমী কমিটির আহবায়ক মাওলানা কাযী বাহাউদ্দীন হাশেমী, দরবারে হাশেমীয়া আলীয়া শরীফের সাজ্জাদানশীনগণ যথাক্রমে মাওলানা হাফেজ কাযী মহিউদ্দীন হাশেমী, মাওলানা কাযী নঈমুদ্দীন হাশেমী, মাওলানা কাযী শরফুদ্দীন হাশেমী, মাওলানা কাযী জিয়াউদ্দীন হাশেমী। এতে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-মাওলানা ওমর ফারুক কাদেরী, মাওলানা ওমর ফারক আজমী,
মাওলানা মনির আহমদ আনোয়ারী, ইব্রাহীম মিয়া, কাজি মোহাম্মদ ছগির, নইম উদ্দীন খান, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, মাওলানা নুরুল আলম চিশতী, ইসমাইল হোসেন রানা, কাজী রোকনুজ্জামান, নুরুল হুদা পারভেজ, আবুল হোসেন, আবু রায়হান চৌধুরী, মুহাম্মদ শওকত আলম, হেলাল উদ্দীন, মুহাম্মদ আসিফ নেওয়াজ জিহান, মোশারফ হোসেন দিপ্তি, সাইফুদ্দিন শাস্ত, মুনছুর আলী, আব্দুল কাদের, শেখ রেজাউল করিম শাহেদ, ইমরান খাঁন মারুফ প্রমুখ।