
নিউজ ডেস্কঃ
জনপ্রশানস মন্ত্রণালয় ৩৫৮ জনকে সহকারী সচিব থেকে উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় নেই আলোচিত র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সারোয়ার আলমের নাম।গত রোববার (৭ মার্চ) প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে উপ-সচিব হয়েছেন ৩৫৮ জন কর্মকর্তা। দুটি প্রজ্ঞাপনে ৩৩৭ জনকে পদোন্নতি পেয়েছেন। বাকি ২১ জন কর্মকর্তা শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তাদের নামে প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও নিয়মানুযায়ী প্রত্যেকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।
সারোয়ার আলম বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারে ২০০৮ সালের নভেম্বরে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ১ জুন সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পান। এ পদে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত। যা পদোন্নতির শর্ত পূরণ করে। তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় অভিযোগ নেই। এরপরও সারোয়ার আলমের পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে হতাশ প্রকাশ করেছেন।ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম পদোন্নতি প্রসঙ্গে কিছু বলেন নি তবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারির পর অনেকেই আমাকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমার পদোন্নতি হয়নি অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা অবাক হয়েছেন। তবে এটাই বাস্তবতা।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, আমি সবসময় জনগণের জন্য কাজ করেছি। যেসব জায়গায় জনগণ প্রতারিত হচ্ছিল, সেগুলো ধরে ধরে কাজ করে মানুষের মনে স্থান করতে পেরেছি। সততা, কর্মদক্ষতা কোনোদিক দিয়েই পিছিয়ে ছিলাম না। আমার প্রমোশন হয়নি, এটা কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না।গত সোমবার (৮ মার্চ) ফেসবুকে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে সারোয়ার আলম লেখেন, ‘চাকরিজীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন।
এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়!’বিসিএস ২৭তম ব্যাচের সারোয়ার আলমসহ প্রায় ৩০ কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, যারা যোগ্য সকলেই পদোন্নতি পেয়েছেন। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড সবকিছু বিশ্লেষণ করে যোগ্যদের পদোন্নতি দিয়েছে।