নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত নারী কবিতার বাস্তবে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অফিস পাড়া এলাকার খাদিজা আক্তার। নিজ উদ্দ্যোগে ব্যবসায় করে এখন এখন তিনি স্বাবলম্বী।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমান আধুনিকতার যুগে নারীরাও পিছে নেই কোন অংশে। স্বল্প পুজি নিয়ে শুরু করে খাদিজা আজ আত্ম-উদ্যমি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। প্রতিক্ষণই ব্যস্ত সময় কাটান ব্যবসায়ী খাদিজা। ব্যস্ততার এক ফাঁকে খাদিজার সাথে কথা বলে জানা গেল, সমাজে নারীরা বোঝা নয়। ইচ্ছা আর শক্তি থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। ছোটবেলা থেকেই নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন খাদিজা। নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ডিগ্রী পর্যন্ত লেখা পড়া করতেও ভুল করেননি খাদিজা।
ব্যবসায়ী খাদিজা জানান, উচ্চ শিক্ষিত মানেই চাকুরী নয়। কারণ, দেশ এবং জাতীর উন্নতির জন্য শিক্ষার্জনের কোন বিকল্প নেই। তাই লেখাপড়া শেষ করে প্রথমে আমি একটি এনজিও থেকে মাত্র বিশ হাজার টাকা লোন নিয়ে শুরু করেছিলাম মহিলাদের জন্য বিউটি পার্লার। তারপর থেকে তাইবা নামে টেইলার্সে এর ব্যবসা শুরু করে আস্তে আস্তে আজ তা হয়েছে লেডিস কর্ণার। স্বামী মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিনও একজন সমাজের শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত বড় এক কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে¡ থেকেও স্ত্রীকে ব্যবসায়ী হতে বিভিন্ন সহযোগীতা করে আসছেন বলেও জানান খাদিজা। এখানেই শেষ নয়, স্বামী ও এক কন্যা সন্তানকে সময় দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন আরো একটি বিভিন্ন প্রসাধনী স্টোর ১থেকে৯৯ নামের একটি বিনোদনী ব্যবসা। যার কারণে আজ তিনি সমাজের একজন স্বাবলম্বী নারী।
বর্তমান সমাজের নারীরাও যে নিজেদের বদলে দিয়ে মাথা উচু করে বাচঁতে পারে, তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে খাদিজা। আরো অনেক খাদিজাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারী সহযোগীতার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে সুন্দর একটি আধুনিক সমাজ উপহার দিবে এটাই বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের প্রত্যাশা।