
২০১৫ বিশ্বকাপের পরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধ্রুব তারার মত আগমণ। তবে ধুমকেতুর মত হারিয়ে যেতে আসেননি মোস্তাফিজুর রহমান। পেসারদের সহজাত চড়াই-উৎরাই পার হওয়ার মত করেই নানা উত্থান-পতনের অধ্যায় পার হচ্ছেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।মোস্তাফিজ নিজেকে অন্যরকম একটা উচ্চতায় শুরু থেকেই নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু, বল হাতে যতটা না তিনি বিধ্বংসী, মাঠের বাইরে ততটাই চুপচাপ। মুখে যেন সারাক্ষণ কুলুপ এঁটে থাকেন।
নিজের মধ্যেই নিজেকে সব সময় সীমাবদ্ধ রাখেন। কম কথা বলেন, কম হাসেন, অনুভূতি প্রকাশ করেন কম।মিডিয়ার সামনে এলে তো যেন বোমা মারলেও মোস্তাফিজের মুখ থেকে এক বা দুইয়ের অধিক শব্দ বের করা যায় না। যে কোনো প্রশ্নের উত্তর, ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তেই সীমাবদ্ধ রাখেন।বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন, এগুলো মোস্তাফিজুর রহমানের এক বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা।
তাকে নেতৃত্বের আসনে বসাতে এগুলোই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। নেতা হতে হলে এসব কিছু থেকেই বেরিয়ে আসতে হবে।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে মোস্তাফিজের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বোলিংয়ে মোস্তাফিজের নেতৃত্ব তথা বোলারদের নেতা হওয়া প্রসঙ্গে। ওই সময়ই তামিমের মুখ থেকে আসল কথাটি বেরিয়ে আসে।তামিম ইকবাল বলেন, ‘মোস্তাফিজ একটু চুপচাপ থাকে।
ইভেনচুয়ালি এ জায়গা থেকে ও যত তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসতে পারবে… ও যত বেশি ভোকাল হবে (ততটাই ভালো), মিডিয়াতে হওয়ার দরকার নাই, বাইরে হওয়ার দরকার নাই। কিন্তু টিমে যত বেশি ভোকাল হতে পারে, সবার সাথে কথা বলতে পারে বেশি বেশি। আমার মনে হয় না এর চাইতে ভালো কিছু আর হতে পারে।’দলে মোস্তাফিজের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘দলে ওর অবস্থানটা এখন এমন যে, যদি একজন পেসার নিতে হয় তবে তাকেই নিতে হবে।
ও যত তাড়াতাড়ি এ জিনিসগুলো (ভোকাল হওয়া) করবে এটা আমাদের জন্য তত ভালো।’তামিম অবাক হন, মোস্তাফিজ তো দেশের বাইরেও বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন লিগ খেলে বেড়ান। তাহলে তিনি কেন এমন নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকেন? তবে তার মতে, মোস্তাফিজ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন সতীর্থদের সঙ্গে।তামিম বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, নিয়মিত জাতীয় দলে খেলছে। তার সামর্থ্যের মধ্যে যতটুক সম্ভব সে অন্য বোলারদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ারের চেষ্টা করে।’