স্টাফ রিপোর্টার ।।
নিয়মিত বীমা পলিসি চালু অবস্থায় (পলিসি নং ১২৫০০০০০৬৪৪৫) গ্রাহক আহাদা খাতুন মারা যান ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। বীমা চুক্তি ও আইন অনুযায়ী বৈধ নমিনী হিসেবে মৃত আহাদা খাতুনের ছোট মেয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধী মোছাঃ তাকলিমা আক্তার (১৮) বীমার দাবি পেতে কোম্পানির চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এখন থেকে ১১ মাস আগে জমা করান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে। এ দাবি পরিশোধে চলে নানা নাটকীয়তা।
একপর্যায়ে এ নিয়ে ভূক্তভোগী লোকজন কোম্পানিটির এমডি`র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করলে টনক নড়ে কতৃপক্ষের।
অবশেষে দীর্ঘ ১৪ মাস পর বৃহস্পতিবার (৮নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় কোম্পানির দুইজন অডিট অফিসার মৃত বীমা গ্রাহক আহাদা খাতুনের বাড়িতে এসে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে তারা ফিরেন।
এ ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপাড়া গ্রামের। নমিনী তাকলিমা আক্তার জানান, তিনি একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। পায়ে সমস্যার কারণে ভালোভাবে হাটাচলা সম্ভব হয় না। তার দিনমজুর বাবা শিশু মিয়ার মৃত্যুর পর তার মা আহাদা খাতুন সংসারের হাল ধরেছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবন্ধী এ মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আহাদা খাতুন নিজের নামে এক লক্ষ টাকা বীমা অংকের একটি বীমা পলিসি নেন ডায়মন্ড লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির সরাইল অফিসের মাধ্যমে। বীমা চালু অবস্থায় আহাদা খাতুন মারা গেলেও কোম্পানিটি এ মৃত্যুদাবি পরিশোধ করছে না।
উচালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ডায়মন্ড লাইফের মাঠকর্মী মোছাঃ রুবিনা বেগম জানান, আহাদা খাতুনকে আমি গ্রাহক করেছিলাম। আগে আমরা এ কোম্পানিতে ভালোই ছিলাম। পিপলু বিশ্বাস ডায়মন্ড লাইফের এমডি হয়ে আসার পর এখানকার গ্রাহকসেবায় বিপর্যয় নেমে আসে। তিনি কয়েকদফা সরাইল অফিসে এসেছিলেন। গ্রাহকের মৃত্যুদাবির টাকা তিনি (এমডি) ভাগবাটোয়ারা করার প্রস্তাব দেন। আনোয়ার হোসেন নামে এক গ্রাহকের মৃত্যুদাবির ১৫ হাজার টাকা কম দিয়েছেন। আহাদা খাতুনের মৃত্যুদাবির টাকা কম দেয়ার প্রস্তাব দেন এমডি পিপলু বিশ্বাস। এতে আমরা সম্মতি না দেয়ায় এ দাবি পরিশোধে তালবাহানা করা হচ্ছে। এদিকে আমাদের সাংগঠনিক এলাকার ডায়মন্ড লাইফের মৃত বীমা গ্রাহক খালেদা আক্তারের স্বজনদের মৃত্যুদাবির দেড় লাখ টাকার বিপরীতে মাত্র এক লাখ টাকা পরিশোধ করে কোম্পানির এমডি। এসব কারনে এখানকার গ্রাহকেরা এমডি পিপলু বিশ্বাসের প্রতি চরমভাবে ক্ষিপ্ত।