টাঙ্গাইলের সকল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিক সমিতি ও চালকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্স প্রতি দুই হাজার করে টাকা নেয়া ও অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গার দাবিতে ওই ঘোষণা দেয়া হয়।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
বন্ধ হওয়া সকল অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির নেতা ও চালকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাফিক সার্জেন্ট সাজেদুল ও জামিল টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এসে সেখানে থাকা সকল অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ডেকে এনে বলেন ‘জেলা প্রশাসক ও সদর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি সাহেব এখানে অ্যাম্বুলেন্স রাখলে প্রতিটির জন্য দুই হাজার টাকা করে দিতে হবে’। অন্যথায় তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়।ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স থেকে দুই হাজার করে টাকা দেয়ার পরও তারা সেখান থেকে সব অ্যাম্বুলেন্স সরিয়ে দেন। এতে চালক ও মালিক সমিতি প্রতিবাদ করায় সার্জেন্টরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
অ্যাম্বুলেন্সগুলো রাখার কোন জায়গা না থাকায় মালিক সমিতির নেতা ও চালকরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সারিবদ্ধভাবে রেখে দেন। পরে জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সাথে বৈঠকে বসেন অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালকরা।
অ্যাম্বুলেন্স থেকে টাকা নেয়ার বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই-প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের সামনে থাকা ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স থেকে দুই হাজার টাকা করে রেকিং বিল আদায় করা হয়েছে। বাকী দুই অ্যাম্বুলেন্সের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, অ্যাম্বুলেন্স মালিক সামিতির নেতাদের সাথে কথা হয়েছে। তাদের অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে- যা অতি দ্রুতই ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মোতালেব হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কোন কার্যকর ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সকল এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও চলাচল বন্ধ থাকবে।