
আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনে ‘চমক’ সৃষ্টি করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুননেছা বাপ্পী।
যদিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নারী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী প্রার্থী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দলীয় মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেছেন শনিবার। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দাবি করেছেন এ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের স্ত্রী দিলশাদ আরা মিনু।
অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাসিরনগর থেকে নির্বাচন করতে ওই এলাকার সন্তান ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী এম বি কানিজ ফাতেমা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
এদিকে ফজিলাতুননেছার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়। তবে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পাইকাপাড়ার বাড়িতেই বসবাস করেন।
তবে স্থানীয়রা মনে করেন, সরাইল আওয়ামীলীগের ঐক্য সংকট এবং নাসিরনগরের বর্তমান অবস্থাকে কেন্দ্র করে এই দুই আসনের যেকোন একটি থেকে তিনি মনোনয়ন পেলে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগের অন্য ১১ মনোনয়নপ্রত্যাশী। ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে রাজাকারের উত্তরসূরি হিসেবে ও দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় নারী সংসদ সদস্য ফজিলাতুননেছা বাপ্পী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনায় আলোচনায় চলে এসেছেন। বর্তমান সংকট নিরসনে তিনি মনোনয়ন পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না বলে মনে করছেন অনেকে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ফজিলাতুননেছা বাপ্পী সাংবাদিকদের জানান,, ‘আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে ও নড়াইল জেলার গৃহবধূ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি ও নড়াইলের একটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমি ব্যানার পোস্টারের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমার কাজ।