
তাতে দেখা গিয়েছে, ৫০ শতাংশ শিশুর শরীরে সার্স কোভ টু-র বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। অর্থাৎ তাদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর বাকি ৫০ শতাংশ শিশু, যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে তারা করোনার তৃতীয় ঢেউ লড়তে বাড়তি সুরক্ষা পাবে।বিএমসি-র কমিশনার আই এস চাহাল সোমবার সেরো সার্ভের রিপোর্ট পেশ করেন। তিনি বলেন, সমীক্ষার ফলাফল ‘উৎসাহব্যঞ্জক’। রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি প্রমাণ করে, অতীতে সংক্রমণ হয়েছে। তাই ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।বিএমসি পরিচালিত নায়ার হাসপাতাল শিশুদের মধ্যে সেরো সার্ভে করে বিএমসি। শহরের ২৪টি ওয়ার্ড থেকে ২১৭৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। গত ১ এপ্রিল সার্ভে শুরু হয়। তখন কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ তুঙ্গে উঠেছিল। সমীক্ষা শেষ হয় ১৫ জুন।
নায়ার হসপিটালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান জয়ন্তী শাস্ত্রী বলেন, শিশুদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কোভিডের তৃতীয় ওয়েভে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তিনি জানান, সার্ভেতে দেখা গেছে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ শিশুর মধ্যে সেরো পজিটিভিটি রয়েছে। আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির শিশুদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশের শরীরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। স্বচ্ছল ঘরের শিশুদের মধ্যে ৪৭ শতাংশের রক্তে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সেরো পজিটিভিটির হার সবচেয়ে বেশি। ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
সেরো পজিটিভিটি সবচেয়ে কম এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে; ৫১ শতাংশ।কোভিড মহামারীতে ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে শীর্ষে আছে মুম্বাই। মহারাষ্ট্রে ৬০ লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ২১ হাজার মানুষ। রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ইনফেকশন হয়েছে ৮৬৪৬ জনের। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৮২৮ জন।