
ভোলার লালমোহনে ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চেয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দিন মজুর। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত দিনমজুর ফারুকের বাড়ি লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ফাতেমাবাদ এলাকায়।শুক্রবার এ ঘটনা ঘটলেও রোববার (২৯ জুন) রাতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।জানা গেছে, ফারুক মহামারি করোনাতে কর্মহীন থাকায় অভাব অনটন ও খাদ্য সংকটে ছিল। ফারুকের কষ্ট দেখে প্রতিবেশী আলমের মেয়ে রুমা শুক্রবার (২৫ জুন) ফারুকের জন্য ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চেয়ে মোবাইলে কল করে এবং ফারুকের পূর্ণ ঠিকানা দেয়।
পরে ৩৩৩ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-নোমানের কাছে ম্যাসেজ পাঠালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে ওই ব্যক্তিকে সহায়তার জন্য বলেন। চেয়ারম্যান তার এলাকার ছালাউদ্দিন দালাল ও হায়দার মেম্বারসহ ফারুককে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন। ফারুক ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কেন ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চেয়ে মোবাইল করেছে জানতে চায় এবং তাকে বিভিন্নভাবে শাসানো হয়।ফারুক অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেমে বাড়িতে আসার পথে হঠাৎ ৮/১০ জন লোক কোনো কথা না বলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। সে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে তিনি ভাড়া করা মোটরসাইকেলে বাড়িতে চলে যায়। এখনও সে প্রচণ্ড অসুস্থ।
টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে না পেরে বাজারের ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ খাচ্ছেন।ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, ফারুককে ৮০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাকে আরও সহায়তা করা হয়। তারপরও সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ৩৩৩ নম্বরে কল করেছে কোনো সাহায্য পায়নি বলে। তাকে কেউ মারধর করেনি।এদিকে ফারুকের বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিক যাওয়ার কথা শুনে ছালাউদ্দিন দালাল এলাকার লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি প্রভাব সৃষ্টি করে ফারুককে কথা বলতে বাধা দেন।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ফারুক ৩৩৩ নম্বরে কল করে অন্যায় করেছে, এলাকার সম্মান নষ্ট করেছে। আমরা একে সব ধরনের সুযোগ দিচ্ছি। তারপরও কেন সে ৩৩৩ নম্বরে কল করবে। অভাবে থাকলে সে আমাদের বলবে।লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, ৩৩৩ নম্বর চালু করা হয়েছে যারা খাদ্যের অভাবে রয়েছে তাদের সহায়তা করার জন্য। আমার কাছে ৩৩৩ নম্বর থেকে একটি এসএমএস আসার পর আমি চেয়ারম্যানের কাছে ফরওয়ার্ড করে দিয়ে তার সম্পর্কে জেনে তাকে সহায়তা করার জন্য বলি। তাকে মারা হয়েছে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।