শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ভূঞাপুর। ২০১৭ সালের ১ মার্চ এ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষনা করা হয়। চারবছরের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও এর সুফল পাচ্ছে না গ্রাহকরা। দিন যতই গড়াচ্ছে গ্রাহক ভোগান্তির মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডালপালা কাটা, লাইন সংস্কারসহ নানা অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন বন্ধ রাখা হচ্ছে। আর শনিবার আসলেতো শনিরদশা ভর করে গ্রাহকদের উপর। যমুনা ফিডারে বুধবার সারাদিন বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ। এছাড়াও আকাশে মেঘ আর সামান্য বৃষ্টিতে বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ।
এর কারন হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারীতাকে দায়ী করছেন গ্রাহকরা।গ্রাহকদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যক্তির কারনে শতভাগ বিদ্যুতায়িত ভূঞাপুর উপজেলায় সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিলেও রয়েছে নানা গরমিল।মাসুদ রেজা নামে এক গ্রাহক জানান, একমাস আগে সারারাত বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের ফার্মের ৫০টি ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। বিদ্যুৎ ভোগান্তির সমাধান কি কখনো হবেনা?জসিম উদ্দীন নামে এক গ্রাহক জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা অফিস মনে হয় ভুলেই গেছে। যার কারনেই এমন সমস্যা।
আব্দুল করিম নামে এক গ্রাহক জানান, আকাশে মেঘ আর হালকা বৃষ্টি হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ। অফিসে ফোন দিলেই বলে, লাইন ফল্ট ডাল পড়ছে লাইনে। তাহলে তারা ডালপালা কোথায় ছাঁটাই করে!এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মেহেদী হাসান ভূঁইয়া বলেন, আজ মাত্র দুইবার বন্ধ হয়েছে। আর গতকাল লাইনে সমস্যা থাকার কারনে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিলো।
মাহমুদুল হাসান ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ