ট্রলার ডুবি: নিহত নারীর বোরকায় থাকা ফোনে মিলল পরিচয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাত ১১টা পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চলছে নিহতদের মরদেহ শনাক্তের কাজ। সেখানে শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হচ্ছে।২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথম ধাপে আসা ১০টি মরদেহের মধ্যে ৯টি শনাক্ত করা হয়।
৪০ বছরের এক নারীর মরদেহ শনাক্ত কেউ করতে পারেনি। সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।সেই নারীর মরদেহ ব্যাগ থেকে খোলা হয়। খোলার পর নারীর বোরকা তল্লাশি করা হয়। বোরকার ভেতরের পকেটে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। কিন্তু পানিতে ডুবে যাওয়ায় সেই মোবাইলটি সুইচ অন করা যাচ্ছিল না। মোবাইলের সিম কার্ডটি অন্য আরেকটি মোবাইলে ঢুকিয়ে সেভ করা একটি নম্বরে কল দেয় পুলিশ সদস্যরা।সেই কলেই মেলে ৪০ বছরের নারীর পরিচয়। মোবাইল ফোনে কলটি রিসিভ করেন ওই নারীর ছেলে নীরব ট্রলার ডুবি: নিহত নারীর বোরকায় থাকা ফোনে মিলল পরিচয়
নীরব মোবাইল ফোনে শনাক্ত করে তার মাকে। মারা যাওয়া নারীর নাম ঝরনা। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুরে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, কিছু মরদেহ ঘটনাস্থলে স্বজনদের শনাক্তের পর হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালেও বেশকিছু মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে এখানে এসেছেন। শনাক্তের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইছকা বিলে এ ঘটনা ঘটে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান,
নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশুর মরদেহ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। রাতে উদ্ধার কাজে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল যোগ দিয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নৌকা ডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহত প্রত্যেক পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।