
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হাফেজ খুন দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলি ও শ্বাসরোধ করে একই দিনে সিলেটের হাফেজ আব্দুল আহাদ (৩০) ও নোয়াখালীর সফিকুল ইসলাম (৫৫) নামে দুই বাংলাদেশি পৃথক ঘটনায় নিহত হয়েছেন।দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ক্লাসডর্প এলাকায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ডাকাতের গুলিতে হাফেজ আব্দুল আহাদ (৩০) নামে ওই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে হাফেজ আব্দুল আহাদ অলমারান্সট্যাড নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দোকানের মাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ নিয়ে ক্লাসডর্প শহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত তার গতিরোধ করে গুলি ছুড়লে তার বুকে লাগে। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।নিহত হাফেজ আব্দুল আহাদ সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামের সজীব আলীর ছেলে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হাফেজ খুন দক্ষিণ আফ্রিকায় তার দুই ভাই আব্দুল বাছিত ও আব্দুল বারিকসহ ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন তিনি। তার মরদেহ দেশে পাঠানো হবে বলে জানা যায়।এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপু প্রদেশের পলোকোয়ানে এলাকায় সফিকুল ইসলাম (৫৫) নামে এক প্রবীণ বাংলাদেশিকে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্থানীয় কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ।
স্থানীয় বাংলাদেশি দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো সফিকুল ইসলাম ওই দিন সকালেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাস্টমার সেজে কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তাকে কিছু মালের অর্ডার দেন। মাল দেওয়ার একপর্যায়ে সঙ্ঘবদ্ধ দলটি জাপটে ধরে পেছন থেকে সফিকুল ইসলামের মুখে সেলো টেপ পেঁচিয়ে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে দোকান থেকে নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় কৃষ্ণাঙ্গ দলটি।নিহত সফিকুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন।মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে হাফেজ আব্দুল আহাদ অলমারান্সট্যাড নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দোকানের মাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ নিয়ে ক্লাসডর্প শহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত তার গতিরোধ করে গুলি ছুড়লে তার বুকে লাগে। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।