
৪২ বছরে নায়িকা পপি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সুন্দরী এবং আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবেই পথচলা শুরু তার। এরপর অভিনয় দিয়েই কেড়েছেন ভক্তদের মন। তিনি আর কেউ নন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি।আজ এই গুনী অভিনেত্রী ৪২ বছর বয়সে পদার্পন করেছেন। ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদা বাড়িতে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি বড়। অভিনয়ের পাশাপাশি নানা কারণেও তিনি ছিলেন বরাবরই বিতর্কিত।
লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি পান পপি। এরপর মডেলিং থেকেই চলচ্চিত্রে পা রাখেন এই গ্ল্যামারাস তারকা। আমার ঘর আমার বেহেশত ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কুলি।
এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানি। ছবিটি সেই সময়ে সাত কোটি টাকা ব্যবস্যা করে মাইলফলক করে।
এরপর রিয়াজের বিপরীতে বিদ্রোহ চারিদিকে, মান্নার বিপরীতে কে আমার বাবা ও লাল বাদশা, ক্ষেপা বাসু ও বাবুল রেজা পরিচালিত ওদের ধর ছায়াছবিগুলোও ব্যবসাসফল হয়। মান্না প্রযোজিত লাল বাদশা ছায়াছবি ব্যবসা সফল হয় ও তার অভিনয় জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে।
এই ছায়াছবিতে আবেদনময়ী খেতাব পাওয়া পপি নিজেকে নতুন ভাবে তুলে আনেন রুবেল এর সাথে জুটি গড়ে। একে একে তার সাথে অভিনয় করেন ২২টি ছায়াছবিতে।সেসময় আবেদনময়ী নায়িকা হিসেবে একচেটিয়া ব্যবসা সফল সিনেমা করেন এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
তবে কিছু ভিন্নধর্মী সিনেমার জন্য নিজের ঝুলিতে জমিয়েছেন বেশ জকিছু পুরস্কারও। কারাগার সিনেমায় এতে টোকাই চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বিদ্রোহী পদ্মায় তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।এছাড়া ফেরদৌসের বিপরীতে রানীকুঠিরের বাকী ইতিহাস, এইডস বিষয়ক সচেতনতামূলক ছায়াছবি মেঘের কোলে রোদ ও চন্দন চৌধুরী পরিচালিত কি যাদু করিলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও দর্শক মহলে সাড়া পেয়েছেন।
মেঘের কোলে রোদ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি অর্জন করেন দ্বিতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া কি যাদু করিলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অর্জন করেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার। পরের বছর সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে ধুঙ্গরের চরিত্রে অভিনয় করেন। এ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তৃতীয় বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও পান টানা দ্বিতীয়বারের মত বাচসাস পুরস্কার।