
ভারতে কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করায় মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা হাদীসে এসেছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন খুশি হলে পৃথিবীতে বৃষ্টি দান করেন, তার চেয়েও বেশি খুশি হলে কন্যাশিশু দান করেন কিন্তু একসময় আইএমে জাহেলিয়াতের যুগে কন্যা সন্তান হলে জীবিত কবর দেওয়া হতো, বা মেরে ফেলা হতো ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীতে আগমন করার পর সব অপসংস্কৃতিকে দূর করে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মহানবীর এই অবদান মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে এখনো মনে রেখেছে কিন্তু সম্প্রতি ভারতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা মধ্যযুগীয় ঘটনাগুলোকে মনে করিয়ে দেয়। লাভলি সিংয়ের ইচ্ছা ছিল তার প্রথম সন্তান ছেলে হবে। কিন্তু সেই সাধ পূরণ হয়নি। ছেলের বদলে গত ১৯ অক্টোবর একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ২১ বছর বয়সী এ নারী। কিন্তু সেটি মেনে নিতে পারেননি তিনি। আর তাই জন্মের একদিনের মাথায় নিজের সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন লাভলি।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঘটেছে বর্বরোচিত এ ঘটনা। পুলিশের কাছে লাভলি সিং নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।জানা যায়, একবালপুর থানার নেতাজি সুভাষ নার্সিংহোমের বেডে বালিশচাপা দিয়ে নিজের কন্যাসন্তানকে হত্যা করেন লাভলি সিং।
বুধবার (২০ অক্টোবর) হাসপাতালের নার্স লাভলির কেবিনে গিয়ে দেখেন নবজাতক শিশুটি নড়াচড়া করছে না। অথচ জন্মের পরে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল সে। পাশে শুয়ে থাকা লাভলিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নীরব থাকেন। এরপরই ডেকে পাঠানো হয় পুলিশকে।পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন লাভলি সিং।
জানিয়েছেন, তিনি প্রথম সন্তান ছেলে চেয়েছিলেন। তা না হওয়াতেই এই কাণ্ড ঘটান।হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সদ্যোজাত সন্তানটি জন্মের সময় পুরোপুরি সুস্থ ছিল। পরের দিন নার্স কেবিনে গিয়ে দেখেন, সে আর শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে না। এরপর দ্রুত চিকিৎসককে ডেকে আনা হয়।
ভারতে কন্যাশিশু জন্মগ্রহণ করায় মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, শিশুটি আর বেঁচে নেই।স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে লাভলির স্বামী চা খেতে বাইরে যান। তখনই সন্তানকে হত্যা করেন ওই নারী।এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। আপাতত নার্সিংহোমের কেবিনেই পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন লাভলি।