
তবু উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনবে না বাংলাদেশ শঙ্কা কাটিয়ে সুপার টুয়েলভের আলোয় যেতে পেরেছে দল, তবে উদ্বোধনী জুটি এখনও ডুবে আঁধারে। শুরুর জুটিতে রান নেই অনেক দিন ধরে। বিশ্বকাপেও বহমান সেই ভোগান্তি। তবে ওপেনিং জুটিতে বদল এনে চিত্র বদলানোর চেষ্টা এখনই করবে না দল। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, টিকে যাচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে তিন ম্যাচ মিলিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কেবল ১১। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকারের দুজনই। দ্বিতীয় ম্যাচে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ফিফটি করলেও লিটন বিদায় নেন শুরুতে।
শেষ ম্যাচে নাঈম বিদায় নেন শূন্য রানে। থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন লিটন।অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে গত এক বছর ধরে টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে ফিরে ইনিংস শুরু করছেন নাঈম, লিটন ও সৌম্য সরকার। এক ম্যাচে শুরুতে দেখা গিয়েছিল মেহেদি হাসানকে। এই সময়ে ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশের শতরানের জুটি একটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি আছে কেবল আর একটি, গত ৩ সেপ্টেম্বর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নাঈম-লিটনের ৫৯।ওপেনিংয়ে এই দুই ব্যাটসম্যানের সবশেষ ৯ জুটির আর একটিও যেতে পারেনি ৩০ পর্যন্ত। সবশেষ ম্যাচে তাদের জুটি ভেঙেছে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে। গত ১২ মাসে বাংলাদেশের কেবল দুটি উদ্বোধনী জুটি পার করতে পেরেছে পাওয়ার প্লে।
পাওয়ার প্লেতে ভালো করার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন ডমিঙ্গোও। তবে সুপার টুয়েলভের শুরুতেও বাংলাদেশ কোচ ভরসা রাখছেন নাঈম-লিটনের ওপরই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগের তিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ জানিয়ে দিলেন, এখানে কোনো পরিবর্তন আসছে না।উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? না।”“পাওয়ার প্লেতে পারফরম্যান্স এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
তবু উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনবে না বাংলাদেশ যে দলগুলো পাওয়ার প্লেতে বেশি রান করে, ওরাই বেশি জেতে, এমন একটা ধারা দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি, ব্যাটিং ও বোলিং দুই ক্ষেত্রেই আগামীকাল প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।”স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর শঙ্কা পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত টানা দুই জয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।