
সিরাজগঞ্জে শ্রমিক নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিলো সেনা সদস্য সিরাজগঞ্জের এক শ্রমিক নেতার সুন্দরী স্ত্রীকে জনৈক সেনা সদস্য কর্তৃক ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত সেনা সদস্য বর্তমানে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত।অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালে সিরাজগঞ্জের মাছুমপুর এলাকার শ্রমিক নেতা জুয়েল রানার সুন্দরী স্ত্রী ও ২ সন্তানের জননী নিলুফার ইয়াছমিনকে (২৭) ভাগিয়ে এনে বিয়ে করেন ফেনীর দাগনভূঁইয়া থানাধীন মাইজউদ্দীনের ছেলে সেনা সদস্য গোলাম রসুল।
নিলুফার ইয়াছমিন গোলাম রসুলকে বিয়ে করলেও তিনি ১ম স্বামী জুয়েল রানাকে তালাক দেননি যা আইন ও শরীয়ত সম্মত নয়। জুয়েল রানার বাড়ী ছেড়ে আসার সময় প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে নিলুফার ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে। নিলুফার ইয়াছমিন বাড়ী থেকে চলে আসার পর জুয়েল রানাকে ফোনে জানায় যে, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ থাকায় তিনি ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছেন।
মন মানসিকতা ভালো হলে তিনি কিছুদিন পর ফিরে আসবেন। আজকাল করে করে ২ মাস অপেক্ষা করার পর নিলুফার ইয়াছমিন ফিরে আসেন। তবে তিনি ১০-১২ দিন থাকার পর পুনরায় চলে যান। এরপরে নিলুফার ইয়াছমিনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। নিলুফার ইয়াছমিনের ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার বোন ফেনীর বাসিন্দা এক সেনা সদস্যের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জে শ্রমিক নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিলো সেনা সদস্য বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারেন নি জুয়েল রানা। তিনি ভেবেছিলেন নিলুফার ইয়াছমিন এটা হয়তো অভিমান করে বলতেছেন। তিনি একদিন ফিরে আসবেনই। কিন্তু ২০১৮ সালে নিলুফার ইয়াছমিন একটি অপরিচিত নম্বর থেকে জুয়েলকে ফোন করে জানান যে, তিনি দিনাজপুর সেনানিবাসে আছেন এবং নতুন সংসারে ১মেয়ের জন্ম হয়েছে।
তাকে যেন ভুলে যায় এবং কোনভাবে বিরক্ত ও ক্ষতি না করে।তালাক না দিয়ে নতুন করে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার বলেন, তালাক কার্যকর না করে নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ বেআইনী।এই বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম রসুলের ছোট ভাই ডাক্তার জুয়েল বলেন, আমার ভাই মেয়েটিকে জোর করে বিয়ে করেনি,সে নিজের ইচ্ছায় এসেছে।
এখানে অপরাধের কিছু নেই। এছাড়া আমার ভাই গোলাম রসুল বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত। তার সাথে আমাদের পারিবারিক কোন সম্পর্ক নেই, তিনি বর্তমানে কোথায় কর্মরত আছেন সেটাও আমরা জানি না।এই বিষয়ে, নিলুফার ইয়াছমিনের ১ম স্বামী জুয়েল রানা বলেন, অনেক সাজানো গোছানো ছিল আমার পরিবার। আমার পরিবারের উপর এত বড় ঝড় আসবে সেটা কখনো কল্পনা করিনি।
গোলাম রসূল বিয়ের কাবিননামায়ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। সেখানে নিলুফার ইয়াছমিনকে কুমারী লিখেছেন। অথচ তার এনআইডি কার্ডে উল্লেখ রয়েছে স্বামী -জুয়েল রানা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু একজন সেনা সদস্যের এরকম জঘন্য কাজ মেনে নেওয়া যায় না। আমি চাই সামরিক তদন্ত সাপেক্ষে গোলাম রসুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক।
যাতে আর কোন সামরিক/বেসামরিক কিংবা প্রশাসনের কোন সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করার সাহস না পায়।বিষয়টি নিয়ে জানতে গোলাম রসুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জুয়েল রানা বিষয়টি নিয়ে এতদিন পর বাড়াবাড়ি করে কাজটি ভালো করতেছে না। তাকে একটি উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
নিলুফারকে আমি বিয়ে করার আগে সে জুয়েল রানাকে তালাক দিয়েছে। তালাকনামার কপি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, কোন কপি নাই। এত বাড়াবাড়ি করেন কেন? বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সম্পর্কে জানেন না? আপনি কিসের সাংবাদিক? আগে আপনার ছবি এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইডির কপি আমার হোয়াটসঅ্যাপে দেন তারপর কথা বলবেন।
(গোলাম রসুলের নারী কেলেঙ্কারির আরো লোমহর্ষক তথ্য নিয়ে আগামী পর্বে প্রকাশিত হবে বিশেষ প্রতিবেদন)
সূত্র জাতীয় সাপ্তাহিক রূপান্তর বাংলা: