
শাফাত রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হল-এ একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘প্রিয় নবীর আগমন মানব জাতির সমাধান : শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ইসলামের অবদান’।
সেমিনারটি উদ্বোধন করেন ঢাবির আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল-মারুফ। সেমিনারটিতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমান নিয়াজী। এতে সভাপতিত্ব পরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন। এছাড়াও বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন, আহমাদ হাসান চৌধুরী, এস এম মাসুম বাকি বিল্লাহ,ড. মো: নাসিরুদ্দীন নঈমী এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী।
‘উপমা তোমার কেউ কখনো দেখেনি কখনো, তোমার মতো কেউ হয়নি সৃজন’ – আলা হজরত ইমাম আহমদ রেজা খাঁ বেরেলডি (র:) নবীজির শান কর্তৃক রচিত এই নাতের পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় সেমিনারটি। ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুম শাওন যৌথভাবে সেমিনারটি উপস্থাপনা করেন। সেমিনার চলাকালে বক্তারা ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় ড. সাইয়েদ আব্দুল্লাহ আল মারুফ প্রশ্ন ছুড়ে দেন তাদের প্রতি যারা মহানবী (স:) এর আগমনকে ঈদ বলা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “যাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ তা’লা কিছুই সৃষ্টি করতেন না, তার আগমনকে কি আমরা ঈদ বলতে পারি না? মুহাম্মদ (স:) নবী ছিলেন জন্মের সময়ও, তিনি নবী ছিলেন তখনও যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আদম-হাওয়াকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেননি।”
প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমান নিয়াজী। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, চার পাশের সবাইকে যতটা ভালোবাসি, তার যোগফলের চেয়ে আরো অনেকগুণ বেশি ভালোবাসতে হবে মহানবী (স:) কে।”
সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ড. মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন বলেন, “বর্তমানে বঙ্গভবন থেকে শুরু করে সব জায়গায়ই ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও এটি উদযাপিত হয়। কিন্তু গুটিকতক বিভ্রান্ত মুসলিম এটি পালনে নারাজ।”
উল্লেখ্য, সেমিনারটি আয়োজন করে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দুপুর ১ টায় অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।