
বাঁচতে চায় দুই সন্তানের জনক অসহায় মিজান বিগত তিন বৎসর যাবৎ ব্যাথা নিবারক ঔষধ সেবন করে কোমড় পিঠের ব্যাথা নিবারন করে আসছিল মিজানুর রহমান। হঠাৎ করে গত তিনমাস পূর্বে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে অজ্ঞান হয়ে পরেন তিনি। প্রতিবেশীদের সহায়তায় ডাক্তারের কাছে নেওয়া হলে, পরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানান যে, তার একটি কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেছে এবং অপরটিরও ৫ভাগ বিকল হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত হওয়ার পরে মিজানুরে স্ত্রী স্বামী এবং তার দুই শিশু সন্তান, শাশুরীকে রেখে অন্যত্র চলে যায়।
এদিকে ৭০ বছর বয়সী মিজানুরের “মা” দ্বারেদ্বারে ভিক্ষা করে পরিবারের ৪ সদস্যদের মুখে ভাত পানির যোগান দিচ্ছেন।মিজানুর পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। তার পূর্বপুরুষের বাড়ি খুলনা বাগেরহাট হলেও সেখানে তিনি যাননি কখনো। ১৯৮৫ সালে তার পিতা মকবুল হাওলাদার খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে সরকারের দেওয়া জমিতে এসে বসবাস করতে থাকেন।
এরপরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মিজানুরের বাবা মকবুল হাওলাদার।জীবন-জীবিকার সন্ধানে গর্ভধারিণী মা’কে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে এসে সিএনজি অটোরিকশা চালকের কাজ করেন তিনি। বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেশ ভালোই জীবনযাপন করছিলেন মিজান। হঠাৎ জীবদ্দশায় এমনটা হবে কখনো ভাবেননি তিনি। ৩৫ বছর বয়সী এই পিতা তার দুটি শিশু সন্তানের জন্য বাঁচতে চায়। বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা ৫নং ওয়ার্ডস্থ চেয়ারম্যান কলোনি এলাকার সুকুমারের ভাড়াঘরে থাকেন তিনি।
প্রতিবেশী গরীব ভাড়াটিয়াদের দয়ার দানে এপর্যন্ত বেঁচে আছেন তিনি।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিমাসে চার বার ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে শরীরের পানি প্রস্রাব এবং রক্তের ক্ষতিকারক পদার্থ বের করতে হয়। এতে প্রায় ১৬/১৭ হাজার টাকার খরচ হয়। এছাড়া বাড়িওয়ালার ঘরভাড়া সাড়ে তিন হাজার টাকা প্রতিমাসে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের অবলম্বন মিজানুরের কিছু একটা হয়ে গেলে দুটি শিশু সন্তানের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পরবে বলে জানিয়েছেন মিজানের মা।
বাঁচতে চায় দুই সন্তানের জনক অসহায় মিজান কারণ তাদের মাথা গোঁজার মত কোথাও কোন ঠাই নাই। যদিনা কোন দয়াবান ব্যক্তি বা সরকার তাদের সাহায্য না করেন। এমতাবস্থায় অসুস্থ মিজানুর হাত জোরকরে দেশ-বিদেশের সকল হৃদয়বান ব্যক্তির কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে সাহায্যে চেয়েছেন। তার শিশু সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য সাহায্য করতে আকুল আবেদন করেন।
মিজানুরের “নগদ” একাউন্ট নাম্বার হলো +8801813-404119 এই নাম্বারে সরাসরি যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে জেনেশুনে তাদের সাহায্য পাঠাতে পারেন।