স্টাফ রিপোর্টার।।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন। সর্বত্রই বইছে এখন নির্বাচনী হাওয়া। নানান নাটকীয়তায় দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ-জমাদান-টিকিটপ্রাপ্তি পর্ব অনেকটাই সমাপ্ত। এখন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টতা। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিলো ২৮ নভেম্বর বুধবার। শেষদিনে জেলার ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৮৬ জন প্রার্থী। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা নাগাদ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান এবং জেলার নয়টি উপজেলার নয়জন সহকারি রিটার্নি কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ক্ষমতাসীন দল অাওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও দাখিল করেছেন মনোনয়নপত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে অাটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন অাওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, বিএনপি মনোনীত সৈয়দ এ.কে একরমুজ্জামান, ইসলামী ঐক্যজোট’র মাওলানা আশরাফুল হক, ইসলামী অান্দোলন’র মাওলানা হোসাইন আহমেদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র মো. ইসলাম উদ্দিন দুলাল, বিএনএফ’র মো. মঞ্জু মিয়া, জাতীয় পার্টির (বিজেবি) মো. ফায়েজুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ২৫ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী উকিল অাবদুস সাত্তার ভুইয়া, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, এস.এন তরুণ দে, শেখ মোহাম্মদ শামিম, অাবু অাসিফ অাহমেদ, মো. অানোয়ার হোসেন, অাখতার হোসেন ও মো. অাহসান উদ্দিন খান, জাতীয় পার্টি (এরশাদ)অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল’র (জাসদ) অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মো. শাহজাদ, জাতীয় পার্টির (জেপি) জামিলুল হক বকুল, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, গণফোরাম’র শাহ্ মফিজ, সিপিবি’র মো. ঈশা খান, ইসলামী ফ্রন্ট’র মহিউদ্দিন মোল্লা, নাগরিক ঐক্য মনোনীত মোবারক হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম’র মাওলানা জুনায়েদ অাল হাবিব, ইসলামী অান্দোলন’র মো. জাকির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন মঈন, মো. ছফিউল্লাহ, আনিছুর রহমান, অ্যাড. সৈয়দ তানভির হোসেন কাউছার, অ্যাড. আশরাফ উদ্দিন মন্তু, শাহজাহান আলম সাজু, মো. মুখলেছুর রহমান ও মো. গিয়াস উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ১৬ প্রার্থী। তারা হলেন অাওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বিএনপি মনোনীত ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও ডা. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট অাবদুল্লাহ অাল হেলাল, সিপিবি’র শাহরিয়ার মো. ফিরোজ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম’র মাওলানা জুনায়েদ অাল হাবিব, খেলাফত অান্দোলন’র মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী আন্দোলন’র সৈয়দ আনোয়ার আহম্মদ লিটন, বিএনএফ’র সৈয়দ মাহমুদুল হক অক্কাছ, গণফোরাম’র অ্যাডভোকেট তারিকুর রৌফ, জাকের পার্টির মো. সেলিম কবির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বশির উল্লাহ জুরু, জামাল রানা,মো. উমর ইউসূফ খান, মো. মাঈন উদ্দিন ও মো. আবু হানিফ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে ১০জন প্রার্থী। তারা হলেন অাওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সাংসদ মুশফিকুর রহমান, মুসলিম উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন হাজারী, জাতীয় পার্টির তারেক এ.আদেল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন, সিপিবি’র মো.শাহীন খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অাহম্মদ শাহ্ মোর্শেদ শাহীন ও ফেরদৌস অাক্তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ১৫ প্রার্থী। তারা হলেন অাওয়ামী লীগ মনোনীত এবাদুল করিম বুলবুল, বিএনপি মনোনীত কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, তকদীর হোসেন মো. জসীম ও সালাহ উদ্দিন ভুইয়া শিশির, জাতীয় পার্টির কাজী মো. মামুনুর রশিদ, জাসদ (ইনু) মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ জিকরুল আহম্মেদ খোকন, ইসলামী ঐক্যজোট’র মাওলানা মেহেদী হাসান, ইসলামী অান্দোলন’র উসমান গনি রাসেল, সিপিবি’র শাহীন খান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ’র এ.কে.এম আশরাফুল আলম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র মো. তানভীর মনিরুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েদুল হক সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্চারামপুর) আসনে জমা দিয়েছেন ১০ প্রার্থী। তারা হলেন অাওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এম.এ খালেক, রফিকুল ইসলাম সিকদার, মেহেদী হাসান পলাশ ও অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন, জাতীয় পার্টির জেসমিন নূর, সিপিবি’র সৈয়দ মোহাম্মদ জামাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মো. রেজুয়ানুল ইসলাম খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কবির হোসেন ও কে.এম জাবির।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান এবং জেলার নয় উপজেলার সহকারি রিটার্নিং অফিসারদের কাছে বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের বাছাই। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, ‘যে কেউ মনোনয়ন দাখিল করতে পারে। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব। তারপর চূড়ান্ত করা হবে।’