রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। রাজউকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।
সেদিন আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ জানান, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
গুলশান শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়। যেকোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এবং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে বলেও উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস। তবে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ব্যবসা পরিচালনা করেছিলেন। গত বছরের ১৩ জুলাই ভবনটি সিলগালা করে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।