হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা বলে বিবেচনা করা হয়। এ ঘটনা করা মামলায় গত বছরের ৩০ অক্টোবর সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
তবে কী কারণে সাত জঙ্গির সাজা কমালেন উচ্চ আদালত? রায়ের আট মাসেও তা জানতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে পর্যালোচনা করে নেয়া হবে আপিলের সিদ্ধান্ত। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, রায়ের অনুলিপি পেলে আসামিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আপিল করবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে হাইকোর্ট আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাই তাদের মৃত্যু পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে। কারাগার থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগে বিবিধ আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
আরেক প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি পেলে বুঝতে পারব কী যুক্তিতে বা কোন কোন যুক্তিতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়টি পেলে পর্যালোচনার পর রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, বর্বরোচিত হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের সাজা কমিয়ে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর হামলার পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন ৫ জঙ্গি।