মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষপদে সম্ভাব্য প্রার্থী যারা নগর ছাত্রলীগের তামাদি কমিটি ভেঙে নয়া কমিটির আভাস আলোচনায় রয়েছেন যারা’ এবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্ৰীয় ছাত্রলীগ। সূত্র মতে, শীর্ষ পদ-প্রত্যাশীদের ইতোমধ্যে বায়োডাটা আহ্বান করেছে কেন্দ্র।
দীর্ঘ এক দশক পর নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের আভাস তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। নতুন কমিটিতে একেবারে ক্লিন ইমেজের মেধাবী ছাত্র এবং দুঃসময়ে সংগঠনের কাজে মাঠে ছিলেন এমন কর্মীদের মূল্যায়ন নগর ছাত্রলীগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারকেরা।
নতুন কমিটি গঠনের আভাস ছড়িয়ে পড়ায় নিজেকে শীর্ষপদে এগিয়ে রাখতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে। অনেকেই চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে শীর্ষপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনায় রয়েছেন অর্ধ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা। এদিকে নগর ছাত্রলীগের সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। ইতোমধ্যে চারবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সম্ভাব্য শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের কার্যালয়ে বায়োডাটা জমা নিয়েছিলেন। এবার নগর ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে সিভি আহ্বান করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।
নির্বাচনের পরপরই মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে।
মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষপদে সম্ভাব্য প্রার্থী যারা
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল রুবেল, পতেঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান হাবিব সেতু, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরুন নবি শাহেদ, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম শহীদ, সদরঘাট থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী আসিফ আলভী, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রাকিব, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য মিজানুর রহমান, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য আরাফাত রুবেল, বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম বাবু, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক আশিষ নয়ন সরকার, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ কাইয়ুম, সিটি কলেজ ছাত্রসংসদ(নৈশ) এর ভিপি মুহাম্মদ তাসিন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত বাপ্পি, কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে যারা আছেন- মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফ চৌধুরী পাভেল, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দীন মামুন, আনোয়ার পলাশ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস সৈয়দ ইবনে জামান ডায়মন্ড, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল আলম আলভি, ওমরগণি এমইস কলেজ ছাত্রলীগের জাহিদুল ইসলাম প্রমি, শাহাদাত হোসেন হীরা, মহিম আজম, মুহাম্মদ ইমন হেসেন, আরাফাত রুবেল, এম এইচ ফয়সাল, হালিশহর থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রহিম জিসান, মহানগর ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদ ফাহাদ আনিস, হুমায়ুন কবির আজাদ, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ওসমান গণি, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইরশাদুল আমিন মিয়া জাহিদ, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মীর মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, ডবলমুরিং ছাত্রলীগ সংগঠনিক সম্পাদক শেখ তৌহিদুল ইসলাম আরদিন, ইসলামিয়া কলেজের এজিএস নোমান সাইফ, মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ চৌধুরী, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিন্দ্য দেব, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য ফাহাদ আনিছ, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক অরভিন সাকিব ইভান, মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক এস এম হুমায়ূন কবির আজাদ ছাত্রলীগ নেতা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক নগর ছাত্রলীগের কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের ১১ জুলাই আগের ২৪ জনসহ ২৯১ সদস্যের ঢাউস সাইজের নগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ওই কমিটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।