রমজান মাসের ফজিলত:আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় একটি সময়। এই মাসে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেছেন, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। রমজান মাসে কুরআন নাজিল হওয়ায় এই মাসের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রমজানের প্রধান ফজিলত হলো, এই মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রমজান মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।” (বুখারি ও মুসলিম)
এই মাসে মুসলমানরা সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন করেন এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন। রোজা শুধু ক্ষুধা ও তৃষ্ণা সহ্য করার বিষয় নয়, বরং এটি তাকওয়া অর্জনের একটি মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)
এই মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত হলো লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত। এই রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। কুরআনে বলা হয়েছে, “লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।” (সুরা কদর, আয়াত ৩) এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ পান।
রমজান মাসের ফজিলত:আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের মাস রমজান মাসে দান-সদকারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই মাসে বেশি দান-খয়রাত করতেন। এ মাসে জাকাত প্রদান করা হয়, যা গরিব-দুঃখীদের সাহায্যার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফের মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হন। এই মাসের শেষে মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে আনন্দ ও উৎসবের মাধ্যমে রোজার সফল সমাপ্তি উদযাপন করেন।
রোজার মাসের ফজিলত ও তাৎপর্য মুসলিম উম্মাহকে আত্মশুদ্ধি, সামাজিক সম্প্রীতি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সুযোগ দেয়। এই মাসের বরকত ও রহমত লাভের জন্য সবাইকে বেশি বেশি ইবাদত ও দান-সদকায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।