মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দীন বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান নব প্রজন্মের তরুণ ও কিশোররা সহ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা আরো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিরোধীরা আজও সক্রিয়, তাই যে কোন নাশকতা বিরোধী কর্মের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল শক্তিকে সর্তক থাকতে হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কার প্রার্থীদেরকে
বিজয়ী করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সন্তান আমেরিকা প্রবাসী আবদুল গণির পৃষ্ঠপোষকতায় ও সার্বিক সহযোগিতায় খুলশী থানাধীন ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারে উদ্যোগে পশ্চিম খুলশীস্থ লাল-সবুজ ভবনে কুমিল্লার প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন’র নামে উৎসর্গকৃত মিলনায়তনে ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পাদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হুমায়ুুন কবিরের সভাপতিত্বে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবদুল গণি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করিয়ে যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. গাজী মোঃ সালেহ উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে লাল-সবুজের পুঁতি দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি তসবী ও লাল-সবুজের টুঁপি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে মধ্যাহৃভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে মুক্তিযোদ্ধারা পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদদের সম্মানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।