আর মাত্র ২০ ঘন্টা পর আজ রাতের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রোববার সারা দেশে দিনভর চলবে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যে ভোট দিতে ঢাকা চট্রগ্রাম ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন লাখ লাখ মানুষ।
নির্বাচনে টানা ৩ দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি। ভোটের দিন রোববার সাধারণ ছুটি। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই ক’দিন ছুটি পেয়েছেন। অনেকে আগে-পরে আরও ২’১ দিন ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে গেছেন গ্রামের বাড়ি। ফলে রাজধানী হয়ে পড়েছে এখন একা ফাঁকা ও কোলাহলমুক্ত।
রূপই বদলে গেছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মানুষের পদচারণায় মুখরিত নগরীতে কমেছে যানজট। শহরেরর সড়কগুলোতে কমে গেছে যান চলাচল। কমেছে গণপরিবহন, বাস, রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেট গাড়ি মাইক্রোবাস। যানবাহনের সঙ্গে কমেছে হকারের সংখ্যা। ফলে যারা আছেন তারা নির্বিঘ্নে এখন রাজতা পারাপার হতে পারছেন। তবে যাতায়াত সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে এক স্থান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার যান পাচ্ছেন না। এতে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
উপরন্তু, শুক্রবার সকালে প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নেই কোনো প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাইকিং, মিছিল, স্লোগান, গান-বাজনা, ঢাকঢোল-বাদ্য ও সাউন্ড সিস্টেমে হাই ভলিউমে প্রচারণা। সব মিলিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম এখন হয়ে পড়েছে কোলাহলমুক্ত। গত ১৪-১৫ দিন ধরে রাজপথ থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলি সর্বত্রই ছিল জমজমাট প্রচারণা।
রাজধানীর ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, পল্টন, গুলশান, রমনা ও তেজগাঁওয়ের এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে যেমন আগ্রাবাদ নিউ মার্কেট ২ নম্বর গেইট মুরাদপুর বহদ্দারহাট জিইসির মোড লালখান বাজার ইপি জেড নতুন ব্রীজ এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে অন্যান্য অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তা ফাঁকা। যান চলাচল তুলনামূলকভাবে অনেক কম। মানুষের ভিড়ও নেই। ফলে কোথাও কোনও শব্দদূষণ নেই। জুমার নামাজে বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়ও অপেক্ষাকৃত কম দেখা গেছে।
নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকার বাস-ট্রেন ও লঞ্চঘাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে র্যাব-পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ছিল। ফলে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামেও তার বিপরীত চিত্র নই নিরাপত্তায় আছে হাজার হাজার সৈনিকেরা ফলে কোন ধরনের ঘটনা ঘটার কোন ধরনের সম্ভাবনা নেই