
আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের ১৪দিন পর মোছাঃ রাজিয়া বেগম মাছুমা (২৫) নামে এক গৃহবধূকে তার শিশু সন্তান সহ উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত গৃহবধূ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আইরল গ্রামের প্রবাসী মোঃ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।গত শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গৃহবধূ ও তার দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তান ইব্রাহিমকে পরিবারের লোকদের জিম্মায় হস্তান্তর করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই গৃহবধূ ও তার শিশু সন্তানকে জেলার সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শাহরিয়া নাঈম রোমান এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি দিবাগত রাতে কোন একসময় গৃহবধূ রাজিয়া বেগম শিশু সন্তান সহ তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর দেবর মোঃ ইমরান মিয়া ২০ জানুয়ারি সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তি’র সহায়তা নিয়ে জেলার বিজয়নগর ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও গৃহবধূর সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার মৈন্দ এলাকা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ ও তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। এস.আই শাহরিয়া রোমান জানান, এই নিখোঁজের ঘটনায় গৃহবধূর পিতার পরিবার এটিকে অপহরণ উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। তবে তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা
পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত গৃহবধূ রাজিয়া বেগম পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে বলেছে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। স্বামীর পরিবারের লোকদের সাথে অভিমান করে সে শিশু সন্তান সহ আত্মগোপনে ছিল। শিশু সন্তান সহ গৃহবধূকে তার মাতা মোছাঃ হনুফা বেগমের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এদিকে থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা উদ্ধারকৃত গৃহবধূ রাজিয়া বেগম মাছুমা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী বিদেশে রয়েছেন। ওইদিন শ্বশুরবাড়িতে ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার খুঁজে পাচ্ছিলেননা পরিবারের লোকজন। প্রথমে তারা এ ঘটনায় আমাকে সন্দেহ করে। পরে স্বর্ণ আলমারিতে খুঁজে পায়। তারপরও তারা আমাকে এ ব্যাপারে মানসিকভাবে নির্যাতন চালালে আমি শিশু সন্তানকে নিয়ে কাউকে না জানিয়ে চলে যাই।