ভেজাল পানি বিক্রির দায়ে তিনটি কোম্পানির সনদবাতিল এবং সাতটির বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত করেছেপণ্যের মান নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিএসটিআই।পাঁচ কোম্পানির পানি পানের অনউপযোগী, আদালতে জানালো বিএসটিআইযেসব লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হল- আনন্দফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘আনন্দ প্লাস’ ব্র্যান্ড (জার), রিয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘রিয়েল ফার্স্ট’ ব্র্যান্ড(জার) এবং বেস্টওয়ান ড্রিংকিংয়ের ‘বেস্ট ওয়ান’।আর বিভিন্ন মেয়াদে সাময়িক লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হল- সেফ ইন্টারন্যাশনালের ‘ক্যানি’ ব্র্যান্ড (জার), সিনহা বাংলাদেশ
ট্রেড লিমিটেডের‘এ্যাকুয়া মিনারেল’ (ছোট বোতল), এএসটিবেভারেজ লিমিটেডের ‘আলমা’ ব্র্যান্ড (ছোট বোতল), মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সিএফবি’ ব্র্যান্ড (জার), মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড অ্যান্ডটেকনোলজির ‘ওসমা’ ব্র্যান্ড (জার), ইউনিটি এগ্রোবেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজের ‘এপিক’ ব্র্যান্ড (জার) এবংফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার্সের ‘ইয়াম্মী ইয়াম্মী’ব্র্যান্ড(বোতলজাত)।সরজমিনে বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর নিম্নমানের হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার হাই কোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিএসটিআই।
সংস্থাটি বলছে, লাইসেন্স বাতিল হওয়া সেই ৩ কোম্পানির পানি বাজারজাত করলে কোম্পানি গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সাময়িক লাইসেন্স স্থগিত করা প্রতিষ্ঠান গুলোকেও এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত ড্রিংকিং ওয়াটার বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই পানি বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকাবিভিন্ন কোম্পানির পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার পর ১০টি ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানিনিম্নমানের বলে প্রতীয়মান হয়। পরে তাদের কারণদর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে অনুমোদিত সাতটি কোম্পানির কাছ থেকে জবাব পাওয়ায় তাদের লাইসেন্স বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত করা হয়।আর তিনটি কোম্পানি জবাব না দেওয়ায় তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।