গত ৮মার্চ ২০১৯ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ঘটিকার সময় বৃহত্তর রংপুর সমিতি চট্টগ্রামের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা, কাউন্সিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আগ্রাবাদস্থ কর্ণফুলি শিশু পার্ক চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাননীয় সদস্য পরিকল্পনা ও প্রশাসন মোঃ জাফর আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম।চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত বৃহত্তর রংপুর সমিতির প্রায় ৫০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৫০০ শতাধিক কাউন্সিলর উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার
শুরুতেই সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাকুর রহমান লেবু সমিতির লিখিত দ্বি-বার্ষিক রিপোর্ট পাঠ করেন। সেখানে বলা হয় যে, ১৯৮৮ সালের প্রলংকারী বন্যায় রংপুর বিভাগ তথা বৃহত্তর রংপুর জেলার শত-শত গ্রাম মহল্লা তিস্তা নদীর বন্যায় রাতা-রাতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কয়েক লাখ মানুষ খাদ্য ও আশ্রয়ের অন্বেষণ ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে। যার মধ্যে সিংহভাগ মানুষ চট্টগ্রাম শহরে রিক্সা ট্যাক্সি চালিয়ে দিনাতিপাত করছে। মহিলারাসহ প্রায় ৩০ হাজার মানুষ গার্মেন্ট শ্রমিকের কাজ করে। আবার কিছু অংশ শহরে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মজুরী করে
বেঁচে আছে। তাই শহরের টাইগারপাস, দক্ষিণ খুলশী, বায়জীদ বোস্তামী, বালুছড়া, সল্টগোলা, ইপিজেড সহ শহরের অনেক জায়গায় আজ রংপুরিয়া পল্লী গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক স্থায়ী এবং কিছু সংখ্যক অস্থায়ী চট্টগ্রামে বসবাস করে। যারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করে তারা সাধারণত ১৫/২০ দিন অথবা ১/২ মাস চট্টগ্রামে অবস্থান করে উপার্জনের পর আবার রংপুর চলে যায় সেখানে ২/৪ দিন পরিবারের খোজ খবর করে পুনরায় চট্টগ্রামে চলে আসে। প্রতি যাত্রায় ২০০০টাকা খরচ করে বাস ভাড়া দেওয়ার সামর্থ তাদের নেই। ফলে অল্প টাকায় ভাড়া ট্রাকের উপর অথবা
বাসের ছাদে অথবা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে। তাই প্রায় সময়ই এরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যায় বা পঙ্গুত্ব বরণ করে। সমিতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এরা রংপুর চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-রংপুরে বিরতিহীন ট্রেন যোগাযোগের দাবী করে আসার পরও তাহা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। তাই ট্রেনের দাবিটি বর্তমানে সমিতির প্রাণের দাবী হিসাবে দাড়িয়েছে। এই দাবির সমর্থনে সমিতির রচিত “চল সিআরবিতে যাই মিছিল করিয়া” গানটি বর্তমানে রংপুরিয়াদের গণসংগীত হিসাবে আবির্ভূত হইয়াছে।অতপর কাউন্সিল অধিবেশনে মোঃ মোস্তাকুর রহমান লেবুকে সভাপতি ও প্রকৌশলী মোঃ শিহাব উদ্দিনকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।