সঠিক পরিচর্যা ও যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে অটিষ্টিক শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত করে তোলার বিকল্প নেই। স্বকীয় মেধা ও দক্ষতায় অটিজম শিশু-কিশোরদের সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে সরকারের পাশাপাশি সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় অটিজমবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রাগ্রসর হতে হবে। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় “সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার” প্রতিপাদ্যে ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে সেহের
অটিজম সেন্টারের উদ্যোগে মাসব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্বে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। অদ্য ১ এপ্রিল ২০১৯ইং চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড় সংলগ্ন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সেন্টার প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় নীল বাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। সেহের অটিজম সেন্টার’র কার্যনির্বাহি পরিচালক তাবাস্সুম জেরিন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে নীল বাতি প্রজ্জলন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার। এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র স ালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট’র প্রিন্সিপাল রোটারিয়ান ক্যাপ্টেন ফয়সাল আজিম, গর্ভমেন্ট টিচার্স টেনিং কলেজ’র অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশনের প্রাক্তন প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী, রোটারিয়ান তাহমিনা খান জামান, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মোঃ কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন’র ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু, রোটারিয়ান সাইদুল করিম, চট্টগ্রাম প্রতিবন্ধি উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি এম এ সবুর, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য মুছা বাদশা, এডভোকেট মাসুদুল আলম বাবলু, রোটারিয়ান সিজ্জিল মমতাজ, আবুল খায়ের স্টীল’র এরিয়া ম্যানেজার কামরুজ্জামান ফরহাদ,
সেলিনা রহমান, শাহীন আক্তার, মৌনতাকা জামান কাপ্পি, মাকসুদা বেগম, পারভীন রশিদ, পারভীন সুলতানা নিতু প্রমুখ। রোটারি ক্লাব অব চিটাগং মেরিন সিটি’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অটিজম শিশুদের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক নৈপূণ্যতার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। বক্তারা আরো বলেন, অটিজমকে সংকোচ নয়, অটিজম জয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে অটিজম আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা প্রয়োজন। অটিজম শিশুদের বিকাশগত একটি
সমস্যা। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা সাধারণত অপরের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারে না, তারা অতিরিক্ত জেদী হয়ে থাকে এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন ও গুটিয়ে রাখার মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। তবে, জেনেটিক, নন-জেনেটিক ও পরিবেশগত প্রভাব সমন্বিতভাবে অটিজমের জন্য দায়ী। শিশুর বিকাশে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত পরিচর্যাই এর একমাত্র বিকল্প। অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা অত্যধিক বৃদ্ধি করতে nহবে।