
আসছে বর্ষায় চট্টগ্রামে পাহাড় ধস ঠেকাতে এবার কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ও ভূমিদস্যুদের তালিকা চেয়ে ইতোমধ্যে ৬ ভূমি সার্কেলের সহকারী কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে প্রশাসন। এ অবস্থায় দখল করা পাহাড় কেটে যারা নিম্ন আয়ের মানুষদের বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে তাদের
বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ও কঠোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ নগরবিদদের।চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রতি বছরই তাদের সচেতন করার জন্য মাইকিং করে থাকি। সেই সাথে বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়ে তাদের যে সার্ভিসগুলো রয়েছে যেমন পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও ওইস্থানে
বসবাসকারী মানুষগুলো ভয় পায় না।সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেকে পাহাড় ধসে মারা যায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ৪ জন। ২০১৭ সালে জুনে চট্টগ্রাসহ তিন পার্বত্য জেলায় মারা যায় ১৩২ জন। গত ১২ বছরে মৃত্যু হয় অন্তত ৪০০ জনের বেশি।জেলা প্রশাসনের চিঠি পেয়ে বর্ষার আগে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরাতে জোরেশোরে
প্রস্তুতি নিচ্ছে ভূমি সার্কেলের সহকারী কমিশনার সাবরিনা আফরিন মোস্তফা।তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটা তালিকা রয়েছে। কারা কারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে যেখানে বসবাস করছেন। এছাড়াও আমরা আরেকটি তালিকা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
নেব।চট্টগ্রামে মতিঝর্ণা, বাটালীহিল, টাংকির পাহাড়সহ ঝুঁকিপূর্ণ ২৮টি পাহাড়ের ঢালে ১ লাখের বেশি মানুষের বসবাস করছে। আর তিন পার্বত্য জেলায় এর পরিমাণ ২ লাখের বেশি।