
যারা ‘মুজিবনগর’ দিবসটিকে গুরুত্ব দেন না, পালন করেন না তারা স্বাধীনতাকেই মনে প্রাণে গ্রহণ করে বলে ধারণা করা যায় নাÑআবু তাহের মুহাম্মদ
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ এর আয়োজনে মুজিবনগর সরকার দিবস স্মরণে ২৭ এপ্রিল ২০১৭ খ্রি. শনিবার, সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট সিটি কর্পোরেশন কলেজ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা ও
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক এর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী (শিক্ষায়), দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ-কে (সাংবাদিকতায়) বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য
মোহাম্মদ জাবেদ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননায় ভূষিত অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আবু তাহের মুহাম্মদ আলোচনা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন দেওয়ানহাট কলেজের অধ্যক্ষ ঝিনু আরা বেগম। অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক জিন্নাত পারভীন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন, মীর আবদুর রহমান মামুন, মাকসুদুর রহমান মাসুদ, শিবু চন্দ্র দাশ, সহিদুল ইসলাম সুমন, এম. নুরুল হুদা চৌধুরী, তারেকুর রহমান, রাশেদ
মাহমুদ পিয়াস, রায়হান মাহমুদ শুভ, এম নাছির উদ্দিন আহমদ, সুরেশ দাশ, মো. আশরাফ, মো. সোহেল, ছাত্র জুবায়ের হোসেন ও আবদুর রহিম আলোচনা করেন।
স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনায় শিক্ষায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা সম্মাননা স্মারকে ভূষিত সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না। স্বাধীন বাংলার পবিত্র মাটিতে ১০ এপ্রিল সরকার গঠন ও স্বাধীনতার
ঘোষণা পত্র চূড়ান্ত করে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলার আ¤্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্রযুদ্ধ পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সৃষ্টি করে গুরুত্বের সাথে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা সম্মাননা স্মারকে ভূষিত আবু তাহের মুহাম্মদ বলেন, মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এ সরকারই দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ পরিচালনার করা, বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করার মত জটিল ও কঠিন কাজ করে
ইতিহাসে স্থান করে আছে। জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে গেলেই মুজিবনগর সরকারে অবদানের স্বীকৃতিও মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, যারা ‘মুজিবনগর’ দিবসটিকে গুরুত্ব দেন না, পালন করেন না তারা স্বাধীনতাকেই মনে প্রাণে গ্রহণ করে বলে ধারণা করা যায় না। জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ মুজিবনগর সরকারকে সফল সরকার বলে আখ্যায়িত করে এ সরকারের যথাযথ মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন।