
নিজস্ব প্রতিবেদক
এবার বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের খাটিয়ালপাড়া নুরানী মাদরাসার প্রথম শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে (৭) রোজা রাখা অবস্থায় ধর্ষণ করেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষক।এ ঘটনায় মাদরাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসাকে (৫০) নামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দুপুরে ওই মাদরাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।এর আগে সকালে মাদরাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা।গ্রেফতারকৃত মাদরাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম
মুসা উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মাদার্শী গ্রামের মৃত এসকান্দার সরদারের ছেলে।মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের খাটিয়ালপাড়া নুরানী মাদরাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম প্রায়ই মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করতো। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মাদরাসায় গেলে একটি খালি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসা।পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায়
বাড়িতে নিয়ে গেলে মা-বাবার কাছে বিষয়টি জানায়। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পরই অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তবে অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, মামলা দায়েরের পরই অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মুসা বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হবে তাই অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে