
গত ১৬ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর এর উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল মুরাদপুরস্থ হোটেল জামানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শিব্বির আহমদ ওসমানী। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ। মহানগর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন মাহমুদের স ালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব কাজী সোলাইমান চৌধুরী, সহ-
অর্থ সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, প্রচার সচিব মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, আইন সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব আবদুর রহিম, সহকারী দপ্তর সচিব ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসাইন, কেন্দ্রীয় সদস্য মাস্টার আবুল হোসেন, জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুব, উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হক সিদ্দীকী, কেন্দ্রীয় যুবসেনা সেক্রেটারি সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম। নগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি আবু নাসের তৈয়্যব আলী, জায়নুল আলম, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা
আবদুন নবী আলকাদেরী,নবী হোসেন, শফিউল আলম, মাওলানা সোহাইল আনসারী, আবদুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ শাহজাহান, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসমাঈল হোসাইন, কাজী খালেদুর রহমান হাশেমী, আবদুর রহিম, আহমদ শাহ আলমগীর, মহানগর উত্তর যুবসেনার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মাছুমুর রশিদ কাদেরী, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান, নগর উত্তর সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সেক্রেটারি মোহাম্মদ এরশাদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, মাহে রমজানের রোজা মানুষের আত্মাকে ভোগবাদ মুক্ত পরিশুদ্ধ করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলার শিক্ষা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও আত্ম-অহংবোধ ভুলে গিয়ে সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ প্রতিষ্ঠার মাসই হলো মাহে রমজান। উম্মতে মুহাম্মদীর নৈতিক চরিত্র উন্নত করে সাহাবায়ে কিরামের মতো আদর্শ জীবন গঠন করার প্রশিক্ষণ এ মাসেই গ্রহণ করতে হয়। রোজা মানুষকে প্রকৃত ধার্মিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়। রোজাদারদের ইবাদত-বন্দেগির ভেতর দিয়ে সব ধরনের
অন্যায়-অত্যাচার, অশোভন-অনাচার, দুরাচার-পাপাচার ও যাবতীয় অকল্যাণকর কাজকর্ম থেকে বিরত হয়ে সংযম সাধনার পথ ধরে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণের শিক্ষা দেয়।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, মানুষের সামাজিক-নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সূতিকাগার হচ্ছে আমাদের ভেঙ্গে পড়া ও লক্ষ্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা এবং এর গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই মুহূর্তে আমাদের সামনে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার
সংকট, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, টাকা পাচারের নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিযোগিতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সর্বোপরি মাদক সন্ত্রাস। এসব সামাজিক-অর্থনৈতিক উপদ্রব আমাদের রাষ্ট্র এবং সমাজব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে দিতে চলেছে। রাষ্ট্রের আইন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারিক আদালত এবং সামাজিক বন্ধনের পুরনো ঐতিহ্যগুলো এখন আর ব্যক্তির নিরাপত্তা দিতে পারছেনা। মানুষ ক্রমেই নিরাপত্তাহীনতার অনিশ্চয়তার গভীরে নিমজ্জিত ডুবে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। সরকার যেভাবেই হোক ক্ষমতাসীন হয়েছে, তাই সরকারকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে হবে।